ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

সুন্দরগঞ্জে তিস্তার পানি বেড়েছে

বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটে বানভাসিরা

বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটে বানভাসিরা

সুন্দরগঞ্জে বন্যা কবলিত একটি পরিবার

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪ | ১৯:৪৪ | আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪ | ২০:২১

সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীতে পানি আরও বেড়েছে। এতে উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। বন্যা কবলিত ছয়টি ইউনিয়নে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। বানভাসিদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি, খাবার, ওষুধ, চিকিৎসাসেবা ও পশু খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।

সরকারি তথ্যমতে, আজ শুক্রবার রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীতে সরকারিভাবে পানি মাপার স্কেল বসানো নেই। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) গণউন্নয়ন কেন্দ্র হরিপুর ইউনিয়নে তিস্তা নদীতে একটি স্কেল বসিয়েছে। তাদের তথ্যমতে, শুক্রবার উপজেলায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। 

কাপাসিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, পানি বাড়ায় বানভাসিদের কষ্ট বেড়েছে। সরকারিভাবে যে বরাদ্দ পাওয়া গেছে তা একেবারেই অপ্রতুল। বন্যা কবলিত মানুষ খাবার ও বিশুদ্ধ পানিসহ নানা সংকটে রয়েছে। বিশেষ করে গৃহপালিত পশু নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছে তারা। 

হরিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মশিউর রহমান বলেন, নদীতে পানি বাড়ায় উপজেলার চর এলাকার মানুষের কষ্ট আরও বেড়েছে। হরিপুর ইউনিয়নের কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চর এলাকাগুলো এখন পানিতে থৈ থৈ করছে। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি অনেক পরিবার কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে এখনও বসতবাড়ি ছেড়ে যায়নি। তারা ঘরের মাচায় ও টিনের চালে আশ্রয় নিয়েছে। 

হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোজাহারুল ইসলাম বলেন, তিস্তার পানি বাড়ায় হরিপুর ইউনিয়নের প্রায় পুরো এলাকা ডুবে গেছে। বন্যার্তদের জন্য আজ শুক্রবার পর্যন্ত যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা অপ্রতুল। দুর্গতদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি, গোখাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবা সংকট দেখা দিয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিফ মন্ডল জানান, বন্যা কবলিত ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের তথ্যমতে উপজেলার ২০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ পরিবার উঁচু স্থান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাঁধ ও আশ্রয়কেন্দ্রে চলে গেছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ৩০ মেট্রিকটন চাল ও ৪০০ প্যাকেট শুকনা খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ পাওয়া গেছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউওনও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, সার্বক্ষণিক বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পাওয়া সরকারি বরাদ্দ ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বানভাসিদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন

×