কুয়াকাটায় হোটেল নিয়ে আবেদ আলীর ফেসবুক পোস্ট, যা বলল কর্তৃপক্ষ

প্রশ্নফাঁসে অভিযুক্ত পিএসসি চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী। ছবি: সংগৃহীত
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪ | ১৬:০৩ | আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪ | ১৬:২৯
বিসিএসসহ পিএসসির ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার সৈয়দ আবেদ আলীর এক ফেসবুক পোস্ট নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় একটি তারকা হোটেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও শেয়ার বিক্রি সংক্রান্ত ওই পোস্টটি গত ১৮ মে ফেসবুকে দেন তিনি। তবে আবেদ আলীর দাবি সত্য নয় বলে জানিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
হোটেলের একটি ছবি শেয়ার করে সৈয়দ আবেদ আলী তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘আমাদের নতুন হোটেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম আজ। হোটেল সান মেরিনা, কুয়াকাটা। সমুদ্রকন্যার পাড়ে আজীবন নিজের জন্য একটা থাকার ব্যবস্থা ও একইসঙ্গে একটা হোটেলের মালিকানা অর্জন করতে আপনিও শেয়ার কিনতে পারেন। শেয়ার কিনতে যোগাযোগ করুন।’
পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেন সান মেরিনা কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন জানান, ওই জমিতে এখনও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়নি। জমির মালিক আপাতত একজন। আবেদ আলীর দাবির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় রাখাইন মার্কেট রোডে ওই জমির ওপর কোনো হোটেল এখনো নির্মিত হয়নি। ৪০ শতক জমির চারদিকে সীমানাপ্রাচীর রয়েছে। সামনে টাঙানো রয়েছে সাইনবোর্ডটি। একপাশে একটি টিনশেডের লম্বা ঘরে বেশ কয়েকটি রুম রয়েছে, যেখানে থাকেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক। মাঝে মাঝে রুমগুলো পর্যটকদের কাছে ভাড়াও দেওয়া হয়।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. রুবেল হোসেন ফারুক বলেন, আমি গত ৮ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আছি। আবেদ আলী নামের এই লোককে কখনো আমাদের মালিকের সঙ্গে দেখিনি। এটার মালিক মোশাররফ হোসেন নামের একজনই, তিনি পেশায় ঠিকাদার। এখানে আমরা শেয়ার বিক্রির সাইনবোর্ড লাগিয়েছি। এটা দেখে অনেকে এসে কথা বলে, ছবি তোলে। তবে আবেদ আলী যে মালিকানা দাবি করেছে, তা সম্পূর্ণ ভুয়া।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন সমকালকে বলেন, আমি ২০১০ সালে এই জমি ক্রয় করি। এখন পর্যন্ত জমির মালিক আমি একা, কোনো পার্টনার নেই। শেয়ার বিক্রির জন্য সাইনবোর্ড লাগিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো শেয়ার বিক্রি হয়নি। আবেদ আলী নামের এই লোককে আমি চিনি না। আমার টাঙানো ছবি দিয়ে তিনি শেয়ারের মালিকানা দাবি করে প্রতারণা করেছেন। এ বিষয়ে ঢাকার গুলশান থানায় জিডি করব।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পিএসসি চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পশ্চিম বোতলা গ্রামের মৃত আবদুর রহমান মীরের ছেলে। সম্প্রতি ডাসার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়তে এলাকায় ব্যানার-পোস্টার টাঙিয়েছেন তিনি।
প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় আলোচনায় এসে গ্রেফতার হন সৈয়দ আবেদ আলী ও তার ছেলে সোহানুর রহমান সিয়াম। সিয়াম গত ১৯ মে কুয়াকাটা সৈকতে তার বাবা আবেদ আলী নামাজ আদায় করছেন এমন ছবিও পোস্ট করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন তার বাবা ব্যবসায়িক কাজে কুয়াকাটায় গিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, এরইমধ্যে তাদেরসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
- বিষয় :
- প্রশ্নফাঁস
- প্রশ্নপত্র ফাঁস
- পিএসসি
- বিসিএস
- পটুয়াখালী