ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ-বিজিবির সংঘর্ষ, আহত বেশ কয়েকজন

কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ-বিজিবির সংঘর্ষ, আহত বেশ কয়েকজন

কুমিল্লায় কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবির ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। ছবি: সমকাল

কুবি সংবাদদাতা 

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৪ | ১৬:১১ | আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪ | ১৬:১৭

কুমিল্লায় কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবির ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজনকে আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে মহাসড়কে পৌঁছলে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কে শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদস্যরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিলেও হঠাৎ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে শুরু করে পুলিশ। এরপর শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।

বিকেল সাড়ে তিনটায় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থী ও পুলিশের সংঘর্ষ চলমান। এখন পর্যন্ত ৪ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা মেডিক্যালের পরিচালক ডা. শেখ ফজলে রাব্বী।

আহত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, হাসপাতাল অভিমুখে পুলিশ ও বিজিবি রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান নেওয়ায় বহু সংখ্যক হতাহত হাসপাতালে যেতে পারছে না। এছাড়াও শহর থেকে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কোটবাড়ি অভিমুখে রওনা করলে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সদস্যরা পথে বাধা দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

বর্তমানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, কুমিল্লা সরকারি কলেজ, কুমিল্লা গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল ও কুমিল্লা জিলা স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছে।

তাদের দাবি, কোটা প্রথার যৌক্তিক সংস্কারের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধার নাতিদের নিয়ে করা বক্তব্যের প্রত্যাহার। এর আগে শিক্ষার্থীরা বাঁশ, পাইপ, রড ও লাঠি হাতে নিয়ে পথে পথে স্লোগান দিতে থাকেন।

তারা বলেন, ‘লড়াই, লড়াই, লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘আমি কে? তুমি কে? রাজাকার, রাজাকার’, ‘কে বলেছে? কে বলেছে? স্বৈরাচার, স্বৈরাচার’, ‘ছাত্রলীগের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘ঢাবিতে হামলা কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘জাবিতে হামলা কেন? প্রশাসন জবাব চাই’,‘চবিতে হামলা কেন? প্রশাসন জবাব চাই’। 

আরও পড়ুন

×