গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

আসমা আক্তার
আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৪ | ১৪:৪৭
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আসমা আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে (২৯ জুলাই) উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের কল্যান্দী এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
স্বজনদের দাবি আসমাকে নির্যাতনের পর হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানো হচ্ছে। তারা আসমার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা করছেন। আসমা উপজেলার গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রদী এলাকার ফালু মিয়ার মেয়ে।
স্বজনদের অভিযোগ, ২০১৮ সালে মাহমুদপুর ইউনিয়নের কল্যান্দী এলাকার মৃত কবির হোসেনের ছেলে আমজাদ হোসেনের সঙ্গে আসমার বিয়ে হয়। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে আমজাদ যৌতুকের জন্য আসমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। টাকা না দেওয়ায় ঈদুল আজহার পর তাকে মারধর করে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। মেয়ের সুখের কথা ভেবে আসমার বাবা জামাতা আমজাদকে দেড় লাখ টাকা দেন। কয়েকদিন পর আবারও টাকার জন্য চাপ দেওয়া হয়। এতে রাজি না হওয়ায় নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। রোববার রাতে বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আমজাদ ও তার পরিবারের সদস্যরা আসমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে টেবিলের ওপর বিষাক্ত ট্যাবলেট রেখে সে আত্মহত্যা করেছে প্রচার চালায়।
আসমার বোন উম্মে হাবিবা বলেন, টেবিলে থাকা ট্যাবলেটের প্যাকেটটি অক্ষত ছিল। সেখান থেকে একটি ট্যাবলেটও খাওয়া হয়নি। এছাড়া আসমার ঠোঁটে কাটা দাগসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার পোশাক ছেড়া ছিল। এসব কিছুই প্রমাণ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
আসমার বাবা ফালু মিয়া বলেন, আমজাদের পরিবারের সদস্যরা আসমাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু তাকে নারায়ণগঞ্জ পপুলার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক আসমাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর তারা লাশ বাড়িতে এনে ফেলে রেখে স্বপরিবারে পালিয়ে যায়।
আড়াইহাজার থানার ওসি আহসান উল্লাহ জানান, লাশ নারায়ণগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এটি হত্যা না আত্মহত্যা জানা যাবে।