ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

পায়ের ঘসাতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের কার্পেটিং

পায়ের ঘসাতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের কার্পেটিং

স্থানীয়রা জানান, সংস্কারকাজ শেষ হওয়ার ৬-৭ দিন পর সড়কের কার্পেটিং উঠতে শুরু করে। ছবি: সমকাল

হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৪ | ১৬:৩৮ | আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৪ | ১৬:৪২

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার বিলডোরা ইউনিয়নের চায়নামোড় থেকে আতুয়াজঙল গায়ের বাজার পর্যন্ত সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে গত ৩০ জুন। এরই মধ্যে কার্পেটিং উঠতে শুরু করেছে সড়কটির। এলাকাবাসীর অভিযোগ, শুরু থেকে নিম্নমানের কাজ হচ্ছিল। তারা বাধা দিলেও সড়কের নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখেন ঠিকাদার।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) হালুয়াঘাট সূত্র জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিলডোরা ইউনিয়নের চায়নামোড় থেকে আতুয়াজঙল গায়ের বাজার পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ মিটার কাঁচা সড়ক পাকা করার উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি পায় রুনা এন্টারপ্রাইজ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করেন ঠিকাদার মোরশেদ ফকির।

গত সোমবার বিকেলে বিলডোরা চায়নামোড় ও আতুয়াজঙল গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গেছে। বিটুমিনের ব্যবহারও হয়েছে স্বল্প পরিমাণে। এলাকার লোকজন সড়কের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে টেনে এবং পায়ের ঘসা দিয়ে কার্পেটিং উঠার দৃশ্য দেখান এই প্রতিবেদকে।

স্থানীয় বাসিন্দা শামসুদ্দিন মিয়া বলেন, সংস্কারকাজ শেষ হওয়ার ৬-৭ দিন পর সড়কের কার্পেটিং উঠতে শুরু করে। ৬ মাস পর সড়কটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে। সরকার অর্থ ব্যয় করে ঠিকই কিন্তু সঠিকভাবে কাজ হয় না। এ যেন কাজ না করেই সরকারি টাকা খাওয়ার উৎসব। প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, নতুন করে কার্পেটিং করা হোক।

কার্পেটিং উঠে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার মোরশেদ ফকির বলেন, আমার কাজ এখনো চলমান, বৃষ্টির মধ্যে কাজ করেছি, ফলে একটু এদিক-সেদিক হতে পারে। ঢালাওভাবে যারা বলছে সব রাস্তা নষ্ট হচ্ছে, আসলে তা না। যেসব জায়গা নষ্ট হচ্ছে, ঠিক করে দিব।

হালুয়াঘাট এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আবু সালেহ মো. ওয়াহেদুল হক বলেন, কার্পেটিং এর বিষয়ে এটা দেখা হইছে আমরা ঠিক করে দিব।

আরও পড়ুন

×