ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

মেঘনায় ট্রলারডুবি 

ছেলের বিয়ে ঠিক করতে যাওয়ার পথে মেয়েসহ মায়ের মৃত্যু  

ছেলের বিয়ে ঠিক করতে যাওয়ার পথে মেয়েসহ মায়ের মৃত্যু  

ছবি: সংগৃহীত

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৪ | ২২:৫৩

ছেলে শান্তকে বিয়ে করাবেন মা শাহানা বেগম (৫০)। ঘরে লাল টুকটুকে বউ আনবেন। সেই আনন্দ নিয়ে তিনি ঢাকা থেকে শরীয়তপুরে এসেছিলেন। বিয়ের দিন-তারিখ পাকাপোক্ত করতে কনের বাড়িতে যাওয়ার সময় মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুবে মারা গেছেন শাহানা ও তাঁর মেয়ে  জলি আক্তার (২৬)। এতে নিখোঁজ হয়েছেন বিয়ের পাত্র শান্ত, তাঁর ভাই শাওন ও শাওনের বন্ধু হৃদয়। আর উদ্ধার করা হয়েছে পাঁচজনকে। শুক্রবার সকালে কোদালপুর ইউনিয়নের মাঝেরচর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।   

স্থানীয় ও বেঁচে ফেরা যাত্রীদের বরাতে জানা যায়, পুরান ঢাকার ধোলাইখাল এলাকার শাজাহান বেপারির ছেলে শান্তর বিয়ের কথা চলছিল গোসাইরহাট মাঝেরচর এলাকার দেলোয়ার হাওলাদারের মেয়ে আইরিনের সঙ্গে।

আজ সকালে বিয়ের কথা পাকাপাকি করতে শান্ত তার পরিবার-প্রতিবেশীসহ আটজনকে নিয়ে কনের বাড়ি যাচ্ছিলেন। ট্রলারে কনের বাড়ির তিনজন লোকও ছিলেন। নৌকায় ছিলেন মোট ১১ জন। সকাল সাড়ে ১০টায় তারা কোদালপুর লঞ্চঘাট থেকে কনের বাড়ির উদ্দেশে ট্রলারে ওঠেন। পথে মাঝ নদীতে প্রচণ্ড ঢেউয়ে ডুবে যায় ট্রলারটি। পরে আশপাশে থাকা জেলে নৌকা এসে আটজনকে উদ্ধার করে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ সময় চিকিৎসক শাহানা ও জলিকে মৃত ঘোষণা করেন।  

উদ্ধার হওয়া মোহাম্মদ আকাশ জানান, ‘আমরা পাত্রীর বাড়িতে যাওয়ার জন্য যে ট্রলারটি ঠিক করেছিলাম, সেই ট্রলারটি পাইনি। পরে পাত্রীপক্ষ আমাদের জন্য একটি ট্রলার পাঠায়। নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ ও বৃষ্টি ছিল। এক সময় মাঝ নদীতে ট্রলারটি দুলতে থাকে। এতে আতঙ্কে সবাই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। হঠাৎ করে বড় একটি ঢেউ আঘাত হানলে ট্রলারটি ডুবে যায়।’  

গোসাইরহাট উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার আব্দুল হাকিম খান বলেন, খবর পেয়ে মাদারীপুর থেকে দু’জন ডুবুরি এনে উদ্ধারকাজ শুরু করি। বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি। নদীতে স্রোত থাকার কারণে উদ্ধারকাজ বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে ওসি পুষ্পেন দেবনাথ বলেন, নিখোঁজদের উদ্ধারকাজ চলমান।

আরও পড়ুন

×