ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন ববি উপাচার্য, প্রক্টরের দুঃখপ্রকাশ

শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন ববি উপাচার্য, প্রক্টরের দুঃখপ্রকাশ

ফাইল ছবি

বরিশাল ব্যুরো

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৪ | ২২:০৬ | আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০২৪ | ২২:৩২

ছাত্র আন্দোলনে ঘটা হতাহতসহ নানা ঘটনার জন্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) উপাচার্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁঞা ও প্রক্টর ড. আব্দুল কাইউম শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। 

শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনানন্দ দাশ কনফারেন্স হলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একাংশের সঙ্গে এক সভায় তাঁরা ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ২২ দফা দাবি উত্থাপন করেন উপাচার্যের কাছে। তবে আন্দোলনকারী থেকে শুরু করে অনেক সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন এ সভা সম্পর্কে তারা কিছুই জানতেন না। 

জানা গেছে, বক্তব্যের শুরুতে ক্ষমা চেয়ে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের সব দাবি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। আমার সকল কর্মের প্রয়াস শিক্ষার্থীদের নিয়ে। অন্য কিছু উপাচার্যের মতো আমাকে যেন অহংকার, হিংসা ও বিদ্বেষ স্পর্শ না করতে পারে। পরে প্রক্টরও ক্ষমা চান। 

এ সভা বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ববির অন্যতম সমন্বয়ক সুজয় শুভ জানান, আমি জানিনা কারা এ সভায় অংশ নিয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা সবাই অবগত ছিল কি না প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানতাম না।

ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা যে ২২ দফা পেশ করেছি তা মেনে নিয়েছেন উপাচার্য। তিনি আন্দোলনে হামলা, গ্রেপ্তার নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া প্রক্টরও দুঃখপ্রকাশ করেন। কারণ গত ১৮ ও ১৯ জুলাই হামলার দায় প্রক্টর এড়াতে পারেন না।

এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব ফেসবুক গ্রুপ ‘লিংকার্স ইন বরিশাল ইউনিভার্সিটি’ তে এই সভার তীব্র বিরোধিতা করেছেন। গতকাল সন্ধ্যা থেকে গ্রুপে অনেকেই নানা বিরূপ মন্তব্য করেন। তারা অভিযোগ করেন, যেখানে ৯৫ ভাগ শিক্ষার্থী একজনের পদত্যাগের পক্ষে সেখানে ‘সরি’ বলে সব সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়? কেউ কেউ সভায় অংশ নেওয়াদের উদ্দেশ্যে লেখেন, হাড়ে হাড়ে টের পাবেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে সভা করার ফল। কেউ লিখেছেন, প্রক্টরকে ক্ষমা করলেন কারা? তাদের পরিচয় কি ছাত্র নাকি চাটুকার?

ওই সভার দায়িত্বে থাকা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু দাবি করেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়েই এ সভা করা হয়েছে। এখানে কোন আঁতাত করা হয়নি। সবার মতামত নেওয়া হয়েছে। একই বিষয়ে জানতে সভায় উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ততার কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। 

গত বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে ২১ দফা দাবি দেন। দাবিগুলো বাস্তবায়নের শর্তে উপাচার্য ড. বদরুজ্জামান ও প্রোক্টর ড. কাইউম উদ্দিন স্বপদে বহাল থাকতে পারবেন বলে জানানো হয়। 

আরও পড়ুন

×