ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

খুবির উপাচার্যকে পদ ছাড়তে দিচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা

বদলি ও পদত্যাগী কর্মকর্তাদের কী হবে

বদলি ও পদত্যাগী কর্মকর্তাদের  কী হবে

ফাইল ছবি

 খুলনা ব্যুরো

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৪ | ০১:১২

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদত্যাগ নিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) অস্থিরতা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের অনুরোধে উপাচার্য অধ্যাপক মাহমুদ হোসেন পদত্যাগ থেকে বিরত থাকলেও, আগেই পদত্যাগ করেছেন রেজিস্ট্রার, হল প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্র‍াধ্যক্ষরা। এ ছাড়া ১৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিভিন্ন বিভাগে বদলি করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এসব কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেন। উপাচার্য পদত্যাগ করতে না পারায় অন্যদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ এবং বদলির বিষয়টি আপাতত স্থগিত। এই পরিস্থিতিতে উপাচার্য স্বপদে বহাল থাকলে তাদের কী হবে– সে প্রশ্ন উঠেছে।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যসহ অন্য কর্মকর্তাদের পদত্যাগের যে ঢেউ শুরু হয়, তা থেকে বাদ যায়নি খুবি। গত ১২ আগস্ট ছাত্রবিষয়ক পরিচালক (ডিএসএ) অধ্যাপক শরীফ হাসান লিমন ও ছয় সহকারী পরিচালক একযোগে পদত্যাগ করেন। ১৮ আগস্ট পদত্যাগপত্র জমা দেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস, পাঁচ হলের প্রাধ্যক্ষ, ১০ সহকারী প্রাধ্যক্ষ ও নিরাপত্তা তত্ত্বাবধায়ক। এর আগে ১৫ আগস্ট জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), উপাচার্যের সচিব, পিএ, ট্রেজারার দপ্তরের সচিব, রেজিস্ট্রারের সচিব, প্রকল্প পরিচালকসহ ১৩ জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় বদলি করা হয়। গত রোববার উপাচার্য পদত্যাগ করতে গেলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন এবং পদত্যাগ না করার অনুরোধ জানান। 
তারা বলেন, আমাদের দাবি ছিল সরকারের লেজুড়বৃত্তি করা উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ট্রেজারার ও প্রভোস্ট বডিসহ সব প্রশাসনিক পদধারী ব্যক্তিদের পদত্যাগ করতে হবে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক পরিষদ, সমিতি বা দল গঠন করতে পারবে না। উপাচার্য অবিলম্বে সিন্ডিকেট ভেঙে দেবেন এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নতুন সিন্ডিকেট গঠন করতে হবে। আমাদের দাবি মেনে অনেকে পদত্যাগ করেন। কিন্তু এখন ভিন্ন ধরনের কথা কানে আসছে। 

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘উপাচার্য স্যার বলেছেন, সবাইকে নিয়ে আমি একটি টিম ওয়ার্ক করি। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি ভেবে দেখা মানে, সবার বিষয়টি ভেবে দেখা। তাদের বিষয়েও স্যারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মহিবুল্লাহ বলেন, আন্দোলন চলাকালে পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থার হুমকির সময় প্রাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার কাউকে আমরা পাশে পাইনি। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি বড় অংশ প্রকাশ্যে ছাত্রদের বিপক্ষে অবস্থান নেন। তাদের স্বপদে বহাল রাখার দায়িত্ব উপাচার্য গ্রহণ করলে আমরা আমাদের অনুরোধ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হব। এর মানে তাঁকেও পদত্যাগ করতে হবে।
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মাহমুদ হোসেন বলেন, এসব বিষয়ে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 

আরও পড়ুন

×