১৭ দিনেও চালু হয়নি ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র

ফাইল ছবি
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৪ | ০১:০৪
ভাঙচুরের ১৭ দিন পরও সচল হয়নি ঢাকার ধামরাইয়ের বাথুলি এলাকার এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন বা ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রটি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই ৫ আগস্ট বিকেলে সেখানে হামলা চালিয়ে কিছু দুর্বৃত্ত ওজন স্কেল ভাঙচুর করে। এর পর থেকেই কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পরিবহনের মালিক-শ্রমিকরা ইচ্ছামতো অতিরিক্ত ওজনের পণ্যবাহী যানবাহন নিয়ে চলাচল করছেন। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এতে করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ক্ষতি হচ্ছে। দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীবাহী পরিবহন ও ছোট পরিবহনে যাতায়াতকারী জনসাধারণ।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের স্থায়িত্বকাল রক্ষা ও দীর্ঘস্থায়ী করতে অতিরিক্ত ওজনের পণ্যবাহী যানবাহন ও দুর্ঘটনা ঠেকাতে ২০০৪ সালে ধামরাইয়ের বাথুলিতে স্থাপন করা হয় ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রটি। এটি সওজ বিভাগ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেগনাম রিসোর্স লিমিটেড যৌথভাবে পরিচালনা করছে।
এখানে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পণ্যসহ যানবাহনের ওজন বেশি হলে চালককে জরিমানা করা হয়। বর্তমানে ছয় চাকাবিশিষ্ট যানবাহনের ক্ষেত্রে ওজন সীমা ২২ টন, ১০ চাকার ক্ষেত্রে ৩০ টন ও ১৪ চাকার ক্ষেত্রে ৪০ টন পর্যন্ত ওজন বহনের অনুমতি দেয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এ ওজন সীমার অতিরিক্ত ১ টনের জন্য ৫ হাজার টাকা ও পরবর্তী প্রতি টনের জন্য ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সেখানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল হাসান তুষারকে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট বিকেলে হামলাকারীরা স্কেলের কম্পিউটার,
সেন্সর, সার্ভার, ইন্ডিকেটর, ক্যামেরাসহ যাবতীয় যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করে। এতে ওজন স্কেলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তারা অতিরিক্ত পণ্যবাহী যানবাহন থেকে জরিমানা আদায় করতে
পারছেন না। ফলে একদিকে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে মহাসড়কের ক্ষতি হচ্ছে। অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন চলাচলের কারণে সড়ক ভেঙে যাচ্ছে।
মানিকগঞ্জ সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ওজন স্কেলের ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রাংশের দ্রুত মেরামতের চেষ্টা চলছে।
- বিষয় :
- ভাংচুর