খাগড়াছড়িতে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পার্বত্য তিন জেলা পরিষদে নিরপেক্ষদের বসানো হবে

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা। ছবি: সংগৃহীত
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৪ | ১৭:৫২ | আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২৪ | ১৭:৫৩
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, সারাদেশের মতো পার্বত্য চট্টগ্রামকেও বৈষম্যমুক্ত পরিবেশে বিকশিত করা হবে। এজন্য এখানকার শক্তিশালী স্থানীয় সরকার কাঠামো হিসেবে বিবেচিত তিন ‘পার্বত্য জেলা পরিষদ’কে দল-নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে পুনর্গঠন করা হবে। অতীতে যা ঘটেছে তা পরিহার করে মানুষের জীবন-জীবিকার উন্নয়ন, অনিয়ম-দুর্নীতি এবং অস্বচ্ছতা পরিহার করে সবার মতামতের ভিত্তিতে পার্বত্যাঞ্চলকে গড়ে তোলা হবে।
শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার সুশীল সমাজের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেছেন।
উপদেষ্টা বলেন, খাগড়াছড়িসহ পুনর্গঠিত পরিষদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পক্ষ থেকে দু‘জন প্রতিনিধি (একজন পাহাড়ি ও একজন বাঙালি) রাখা হবে।
তিনি সাম্প্রতিক সময়ে খাগড়াছড়িতে সংঘটিত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে কেউ যেন কষ্ট না পায়, সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে। দেশে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে বলেও জানান পার্বত্য উপদেষ্টা।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান’র সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. সুধীন কুমার চাকমা, সাবেক অধ্যক্ষ বোধিসত্ত্ব দেওয়ান, খাগড়াছড়ি জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক তরুণ কুমার ভট্টাচার্য, উন্নয়ন গবেষক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা, সরকারি হাইস্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক ত্রিনা চাকমা, নারীনেত্রী সেফালিকা ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি চেম্বারের পরিচালক ধীমান খীসা, উন্নয়নকর্মী উচিমং চৌধুরী সাংস্কৃতিক সংগঠক এমএ মর্তুজা পলাশ এবং জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অ্যাড জসিম উদ্দিন মজুমদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে বর্তমান সরকার কাজ করতে বদ্ধপরিকর। এজন্য পাহাড়ের সকলকে ভাই ভাই হিসেবে বসবাস করার পরামর্শ দেন তিনি।
দুপুরের পর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এই উপদেষ্টা বন্যা-কবলিত জেলার বেশ কয়েকটি এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এদিন বিকেল ৩টায় তিনি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের পৃথক একটি সভায় মিলিত হন।
উপদেষ্টা সকালে সড়কপথে চট্টগ্রাম হয়ে খাগড়াছড়ি সার্কিট হাউজে পৌঁছে গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। এসময় তাকে জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়।
উল্লেখ্য, গতকাল খাগড়াছড়িতে বন্যায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। অনেকেই পানিবন্দি হন। আগস্ট মাসে ৩টি বন্যা দেখেছে খাগড়াছড়ির মানুষ।
- বিষয় :
- পার্বত্য জেলা