ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

ভাণ্ডারিয়ায় বিএনপি অফিস ভাঙচুরের মামলা হলো ১০ বছর পর, আসামি হলেন সাবেক যুবদল নেতাও

বিএনপি অফিস ভাঙচুরের মামলা হলো ১০ বছর পর, আসামি হলেন সাবেক যুবদল নেতাও

ভাণ্ডারিয়া থানা- ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৪ | ১৬:০৪ | আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২৪ | ১৬:৫৮

অন্তত দশ বছর আগে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় বিএনপি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলায় ৩৪ জনকে চিহ্নিত এবং ৮-৯ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) পৌর বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মো. মিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ভাণ্ডারিয়া থানায় মামলাটি করেন।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মামলায় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি জেপি এবং যুবদলের একজন সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ককেও আসামি করা হয়েছে।

এতে প্রধান আসামি করা হয়- উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফায়জুর রশিদ খসরু জোমাদ্দারকে এবং দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে উপজেলা জাতীয় পার্টি জেপি’র সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম উজ্জল তালুকদারকে, ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি টিপু তালুকদারকে। বাদ যায়নি জাতীয় যুবসংহতি ও জাতীয় ছাত্র সমাজ নেতাকর্মীসহ যুবদলের সাবেক সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামজিদ মিয়ার নামও। উপজেলা যুব সংহতি (জেপি) সাধারণ সম্পাদক মো. মামুন সরদারকে ৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামজিদ মিয়া বেগম খালেদা জিয়াকে ‘মা’ সম্মোধন করে বলেন, ‘আমি প্রথমে ছাত্রদল করেছি। পরে জাতীয়তাবাদী যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছি। আর এখন আমাকেও বিএনপির অফিস ভাঙচুরের আসামি করা হয়েছে। আমার অফিস আমি কীভাবে ভাঙব!’

মামলার ১১ নম্বর বিবাধী মো. রাজিব আকন বলেন, ‘২০১৪ সালে আমি স্কুলছাত্র ছিলাম। স্থানীয় বিএনপির এক নেতার সঙ্গে পারিবারিক কলোহের জেরে আমাকে এবং ১৬ নম্বর বিবাধী জিয়া হায়দার মিঠু ভাইকে আসামি করা হয়েছে। জিয়া হায়দার মিঠু ভাই সুশীল সমাজের লোক। দুই যুগের বেশি সময় ধরে রাজধানীতে ব্যবসা করছেন। তিনি কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি ঢাকাতেই থাকেন, এখানে এসে বিএনপির অফিস ভাঙার প্রশ্নই আসে না।’

উপজেলা জাতীয় পার্টি জেপি’র সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম উজ্জল তালুকদার বলেন, ‘বিএনপিও আওয়ামী লীগের মতো শুরু করেছে। পূর্বে যারা বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীর নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়েছে, এ মামলাটি সেরকরম একটি মামলা। কোন অদৃশ্য ছায়ায় এসব মামলা হচ্ছে, অবশ্যই একসময় তা প্রকাশ পাবে।’

মামলার বাদী মো. মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘তৎকালীন ওসি মামলা নেয়নি, তাই এতদিন পর মামলা করা হয়েছে। ভুলবশত কারও নাম মামলায় অর্ন্তভুক্ত হলে পরবর্তীতে সেটা বাদ দেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন

×