অন্তঃসত্ত্বার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবী হত্যা

ফাইল ছবি
কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪ | ১৯:৩১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। রোববার সকালে উপজেলার কুটি এলাকা থেকে সানজিদা আক্তার (২০) নামে ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে সেদিন রাতেই পুলিশ স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় সানজিদার বাবা বাদী হয়ে কসবা থানায় মামলা করেছেন।
সানজিদা আক্তার কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জামতলী গ্রামের মোরশেদ আলমের মেয়ে। মোরশেদ জানান, তিন মাস আগে কসবার কুটি গ্রামের হেবজু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম রাকিবের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেন। বিয়ের সময় ছেলের পরিবার থেকে কোনো চাহিদা ছিল না। কিন্তু বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন স্বর্ণের গহনা, মোটরসাইকেল, খাট-আলমারি যৌতুক চেয়ে সানজিদাকে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে বিষয়টি তাদের ফোনে জানায় মেয়ে। তার সুখের কথা চিন্তা করে চাহিদা অনুযায়ী যৌতুক দিতেও রাজি হন। এ জন্য তিন মাস সময় চান। এত সময় চাওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ হয় সানজিদার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তারা অত্যাচার বাড়িয়ে দেয়।
সানজিদার মা রুনা আক্তারের ভাষ্য, তার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা ছিল। বৃহস্পতিবারও সানজিদা ফোনে তাকে ও অপর মেয়েকে যৌতুকের কারণে নির্যাতনের তথ্য জানায়।
স্বজনরা জানান, বিয়ের ঘটক ছিলেন একই উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সানজিদার খালু ইব্রাহিম মিয়া। রোববার সকালে তাঁকে ফোন করে সাইফুল ইসলাম রাকিবের মা সানজিদার মৃত্যুর সংবাদ জানান। তাঁর কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সানজিদার পরিবারের লোকজন। তাদের অভিযোগ, মেঝে থেকে মাত্র এক ইঞ্চি ওপরে সানজিদার লাশ ঝুলছিল। যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে তাঁকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে তাদের ধারণা। এ বিষয়ে সানজিদার স্বামী রাকিবের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
কসবা থানার ওসি রাজু আহম্মেদ বলেন, সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ সুরতহাল করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর মরদেহ রোববার রাতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছেন। এ ঘটনায় সানজিদার বাবা মোরশেদ আলম থানায় মামলা করেছেন। আসামি গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
- বিষয় :
- ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
- হত্যা
- অভিযোগ
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- কসবা