ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

প্রতিপক্ষের বাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-লুটের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

বাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-লুটের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

হামলায় অংশ নেওয়া অস্ত্র হাতে যুবকরা। ছবি: সমকাল

খোকসা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১২:০৩ | আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৬:১৬

কুষ্টিয়ার খোকসায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসময় প্রতিপক্ষের স’মিলের বৈদ্যুতিক মোটর, মোটরসাইকেল, গবাদি পশুসহ ২০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার পাইকপাড়া-ফুলতলা গ্রামের বাসিন্দা মুক্তার মোল্লা ও আক্তারুজ্জামান মোল্লার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে এ হামলা হয়। হামলায় দেড় শতাধিক অস্ত্রধারী অংশ নেয়।  

ভুক্তভোগীর পরিবারের দাবি, শরিকানা জমি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পালা বদলের পর থেকে স্থানীয় বিএনপির প্রভাবশালী নেতা তাদের প্রতিপক্ষের হয়ে হুমকি ও হামলা চালিয়েছে। এক মাসে দুই দফা হামলা চালানো হয়। সোমবার সকালে দেশীয় অস্ত্রসহ দ্বিতীয় দফায় এ হামলা চালানো হয়। অস্ত্রধারীরা প্রথমে তাদের দুই ভাইয়ের পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে আটকে রাখে। পরে হামলাকারীরা একটি স’মিলের দুটি বৈদ্যুতিক মোটর, ৬ বান্ডিল রড, ৩টি ছাগল এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে।

ব্যবসায়ী মুক্তার মোল্লা ও আক্তারুজ্জামান মোল্লা জানান, আব্দুল্লাহ আল মজিদ সবুজের সঙ্গে শরিকানা জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এর জেরে সোমবার সকালে হামলা চালায় প্রতিপক্ষ। হামলার শুরুতে তারা সিসি ক্যামেরা ভেঙে দেয়। তিন ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালানো হয়। মোটরসাইকেল, স’মিলের দুটি মোটর, চেরা ও গুড়ি কাঠ, নগদ টাকাসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। 

ভুক্তভোগীরা আরও জানায়, প্রথম দফায় হামলার পর তারা দুই বার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। সোমবারের হামলার সময় তারা থানা পুলিশকে ফোন দিয়েছে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি। 

এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ আল মজিদ সবুজের সঙ্গে কথা বলতে তার মোবাইল ফোনে কল করা হয় কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ আমজাদ আলী হামলার তথ্য স্বীকার করে বলেন, এখানে বিএনপির একাধিক গ্রুপ রয়েছে। পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন খানের এলাকায় একটি স’মিল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে।  

উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও পৌর বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন খান বলেন, এ জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আগে থেকে মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগের সময় আক্তার ও মুক্তার অবৈধভাবে জমিটি দখলে নেন। এই বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করে আমি ব্যর্থ হয়েছি। তাই নিজে এই ঝামেলা থেকে সরিয়ে নিয়েছি। এর বেশি কিছু না।  

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননুর যায়েদ বলেন, ঘটনাটির মূল সূত্রপাত জায়গা-জমি নিয়ে। এ ঘটনায় কোর্টে মামলা চলছে। ঘটনা জানার পর পুলিশ পাঠানো হয়। তবে এ বিষয়ে এখনও কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।

আরও পড়ুন

×