ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

এক স্কুলে প্রধান শিক্ষক দাবিদার দুইজন

এক স্কুলে প্রধান শিক্ষক দাবিদার দুইজন

ফাইল ছবি

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৮:৩৬

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নূতন দুলাল ভরট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দাবিদার দুইজন। এ নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক-কর্মচারীদের। প্রতিকার চেয়ে বুধবার স্থানীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক মো. আশরাফ আলী। এ সময় ৬ জন শিক্ষক-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দাবিদার জাহেনুর বেগম ভুয়া সনদ দিয়ে চাকরি করছেন। গত মঙ্গলবার তিনি বহিরাগত কয়েকজনকে নিয়ে বিদ্যালয়ে আসেন। এরপর শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। একপর্যায়ে তাদের অফিস কক্ষে আটকে রেখে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। বহিরাগতরা জাহেনুর বেগমকে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসিয়ে দেন। এ সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম বিদ্যালয়ের কাজে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। অবরুদ্ধ শিক্ষক-কর্মচারীরা মুক্তি পেতে অনলাইনে পুলিশের সহায়তা চান। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি না পাওয়ায় পুলিশ সেখানে যায়নি। পরে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে তারা রক্ষা পান। 

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মকবুল হোসেন বলেন, জাহেনুর বেগমের সনদ ভুয়া। তাঁর নিয়োগে অনিয়ম রয়েছে। তাই তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এরপরও বহিরাগত লোকজন এনে তিনি শিক্ষক-কর্মচারীদের গালমন্দ করেছেন। হত্যার হুমকি দিয়ে সাদা কাগজে তাদের স্বাক্ষর নিয়েছেন।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দাবিদার জাহেনুর বেগম বলেন, ‘আমি স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক। সাবেক প্রধান শিক্ষক অবসরের যাওয়ার সময় আমাকে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। কিন্তু জাহিদুল ইসলাম ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে আদালতে মামলা ও বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে নিজে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।’ 

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলামের ভাষ্য, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হলে কঞ্চিবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে শিক্ষক-কর্মচারীরা তাঁকে দায়িত্ব দেন। এছাড়া আদালত থেকেও তাঁকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরও জাহেনুর বেগম ঝামেলা করে যান। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, দুইজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। বিভিন্ন দপ্তরে ডজনখানেক অভিযোগও রয়েছে। মামলা চলমান থাকায় দ্বন্দ্ব নিরসন জটিল হয়ে পড়েছে। 

 

আরও পড়ুন

×