ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

জলমহালের সীমানা নির্ধারণের দাবি

জলমহালের সীমানা নির্ধারণের দাবি

ফাইল ছবি

ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৯:৩৮

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার ধারাম বিল ও কাইঞ্জার বিল জলমহালসহ সব জলমহালের সীমানা নির্ধারণ এবং ইজারা বহির্ভূত উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ শিকারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জেলেরা।

বুধবার দুপুরে জয়শ্রী ইউনিয়নের জেলেদের পক্ষে তাকবির আলম, আনিছুজ্জামান, বিল্লাল ও আল আমিন লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ আবেদন করেন। এর আগে বিভিন্ন গ্রামের দুই শতাধিক জেলে একই দাবিতে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলেদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল হক, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এসএম রহমত, জয়শ্রী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইকবাল হোসেন মন্টু ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ওবায়দুর মজুমদার।

লিখিত আবেদন ও বক্তব্যে বলা হয়, বর্ষায় হাওরপাড়ের সাধারণ জেলেরা উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। তবে ওই জেলেরা ধারাম ও কাইঞ্জার হাওরসহ ইজারাকৃত বিভিন্ন জলমহালের বাইরে মাছ শিকার করতে গেলেও ইজারাদারের লোকজন জেলেদের জাল, ছাই ও নৌকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এতে সাধারণ জেলেরা মাছ শিকার করতে না পেরে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাই প্রতিটি জলমহালের সীমানা নির্ধারণ করে দিলে স্থানীয় জেলেরা নির্বিঘ্নে উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে।

জয়শ্রী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইকবাল হোসেন মন্টু বলেন, হাওরাঞ্চলের মানুষের প্রধান পেশা কৃষি ও মাছ শিকার। আওয়ামী ইজারাদারেরা তাদের সীমানার বাইরে গিয়ে সাধারণ জেলেদের নির্যাতন করে। বিগত ১৫ বছর ধরে সাধারণ জেলেরা ইজারাদারের নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে।

কাইঞ্জার বিল জলমহালের ইজারাদার দেওলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলামের বক্তব্য জানতে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নাম্বারে কল করলে তাঁর পরিবারের এক সদস্য জানান, শফিকুল বাড়িতে নেই। তিনি বাইরে আছেন।

ধারাম বিল জলমহালের ইজারাদার স্পন্দন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আবেদ মিয়া জানান, প্রতিদিন বহিরাগত লোকজন জলমহালের সীমানায় প্রবেশ করে অবাধে মাছ শিকার করছে। বহিরাগতদের ভয়ে তার পাহারাদারেরা জলমহালে যেতে পারছে না। বিষয়টি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। এখন একটি পক্ষ উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে জলমহাল বেদখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

ইউএনও মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন জানান, এ-সংক্রান্ত একটি আবেদন তিনি পেয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


 

আরও পড়ুন

×