পূর্বাচলে শেখ হাসিনা ও তার নেতাকর্মীদের প্লট বাতিলের দাবি

ছবি: সংগৃহীত
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৯:২০
পূর্বাচল প্রকল্প এলাকায় শেখ হাসিনার পরিবারসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নামে বরাদ্দকৃত সংরক্ষিত কোটার প্লট বাতিলসহ ১৯ দফা দাবি জানিয়েছেন এলাকাটির অধিবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা।
বুধবার ‘পূর্বাচল আদিবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত সমন্বয়ক কমিটির’ ব্যানারে ক্ষতিগ্রস্তরা বৈষম্যের বিরোধের দাবি নিয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ভবনের সামনে মানবন্ধন করেন। এসময় তারা অবিলম্বে আবেদন জমা নেওয়া ও আবেদনকৃতদের বৈষম্যহীনভাবে প্লট বরাদ্ধের দাবি জানান। পরে তারা রাজউক চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
পূর্বাচল অধিবাসি (ভূমি) ক্ষতিগ্রস্ত পুনর্বাসন ও বাস্তবায়ন প্রধান কমিটির সমন্বয়ক মো. দুলাল হোসেন মানববন্ধনে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে মূল অধিবাসী ও ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে যারা যারা আবেদন করতে পারেনি তাদেরকে নতুন করে আবেদন করার সুযোগ দেওয়া; মূল অধিবাসীদের নামে ৩ কাঠা, ৫ কাঠা, ৭.৫ কাঠা, ও ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ দেওয়া; উন্নয়নের নামে গত ১৭ বছরে ভবন, স্টেডিয়াম এবং রাস্তা উন্নয়নের নামে যে সব দুর্নীতি করা হয়েছে তদন্ত করে তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অতি দ্রুত পূর্বচল উপশহরকে বসবাস উপযোগী করে তোলা উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া পূর্বাচল নতুন শহর এলাকায় শিক্ষিত মেধাবী বেকার ছেলে মেয়েদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকরির ব্যবস্থা করা; পূর্বাচল স্টেডিয়ামের নামকরণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহত শহীদদের নামে নামকরণ; অধিবাসীদের ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য স্থায়ীভাবে ক্লাবের জমি বরাদ্দ; প্রতিটি সেক্টরে কবরস্থানের ব্যবস্থা করারও দাবি জানান তারা।
দুলাল হোসেন বলেন, আমরা যারা প্লট পাবার জন্য টাকা জমা দিয়েছিলাম তাদের মধ্যে হাজার হাজার মানুষের কাছ থেকে ৫ কাঠার প্লটের জন্য ৩০ হাজার টাকা করে জমা নেয়া হয়েছিল। দুই কিস্তি জমা দিয়েছি। কিন্তু গাজী (আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী) আমাদের ৫ কাঠার প্লট তিন কাঠা করেছে। আমাদের পাঁচ কাঠার প্লটগুলো পূর্বমূল্যমানে চাই।
তিনি বলেন, ‘বিগত সরকার ১৪০০ প্লট দিয়েছে। সেই প্লটগুলোর মধ্যেও ভুয়া প্লট দিয়েছে। আওয়ামী লীগ দালাল চক্র একেক জনকে ১০০ থেকে ২০০ করে প্লট দিয়েছে। তাদের এই প্লট বাতিল করতে হবে।
পূর্বাচলের আদিবাসীরা গত ৩০ বছর যাবত ক্ষতিগ্রস্ত জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা খুবই দুর্দশার মধ্যে আছে, অসহায় জীবন যাপন করতেছে। যার দালান ছিলো সেও টিনের ঘরের মধ্যে জীবন যাপন করতেছে।
মানববন্ধনের এক পর্যায়ে রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমান সরকার এসে উপস্থিত হন। এ সময় তিনি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, এখন থেকে প্রতি শনিবার আমিসহ আমার কর্মকর্তারা পূর্বাচলে অফিস করবো। সেখানে আপনারা ধাপে ধাপে আপনাদের অভিযোগ নিয়ে আসবেন। আমরা সবার দাবির কথা শুনবো এবং আগে যেগুলো দেওয়া হয়েছিল সেগুলো নিয়মের বাহিরে গেলে আমরা ব্যবস্থা নিব।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরাও জানি পূর্বাচলে অনেক সমস্যা আছে। এ নিয়ে ৪ সদস্যের একটি কমিটি করেছি, তারা বিষয়গুলো পর্যালোচনা করছেন। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে সমাধান করা সম্ভব নয়। আমরা চাই সবার যোগ্য পাওনা তারা বুঝে পাক।’
- বিষয় :
- পূর্বাচল
- প্লট বাতিল
- শেখ হাসিনা