ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

কুমিল্লায় সাবেক মন্ত্রী মুজিবুলের কার্যালয় বিএনপির দখলে

কুমিল্লায় সাবেক মন্ত্রী মুজিবুলের কার্যালয় বিএনপির দখলে

চৌদ্দগ্রাম সদরে সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের কার্যালয়। ছবি: সমকাল

কুমিল্লা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ০৭:৩৫

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর কুমিল্লার-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের কার্যালয় দখলে নিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘শহীদ জিয়াউর রহমান (বীরউত্তম) হল’। তবে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের দাবি, তারা কার্যালয়টি উদ্ধার করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রেখেছেন। সরকার চাইলে যে কোনো মুহূর্তে ফিরিয়ে দেবেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের শেষের দিকে চৌদ্দগ্রাম সদরে বিলুপ্ত হওয়া ইউনিয়ন পরিষদের ওই পরিত্যক্ত হলরুমটি তৎকালীন এমপি মুজিবুল হক সংস্কার করে ব্যক্তিগত কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার শুরু করেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিনই চৌদ্দগ্রামের বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ওই কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। মুজিবুল হক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সরকার পতনের পর তিনি ও তাঁর অনুসারী নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে যান। এই সুযোগে কার্যালয়টি দখলে নেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী। এরই মধ্যে কার্যালয়ের দরজা-জানালা মেরামত করা হয়েছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, ২০২০ সালের শুরু থেকে ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত মুজিবুল হক যখনই চৌদ্দগ্রামে এসেছেন, তখনই ওই কার্যালয়ে বসতেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ও এটি ছিল তাঁর নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদা ও চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক হারুনুর রশিদের অনুসারীরা কার্যালয়টি দখলে নিয়েছেন। বর্তমানে হলরুমটি দখল করে নানা ব্যানার-ফেস্টুন টানিয়ে রেখেছেন তারা।

এ বিষয়ে কথা বলতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে কার্যালয়টি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ। তিনি বলেন, আমরা কার্যালয়টি উদ্ধার করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রেখেছি। সরকার চাইলে যে কোনো মুহূর্তে এটি ফিরিয়ে দিতে রাজি আছি। কেউ যেন দখলের সাহস না করে, সেজন্য হলরুমের নাম রাখা হয়েছে ‘শহীদ জিয়াউর রহমান (বীরউত্তম) হল’। 

গতকাল বুধবার কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন সমকালকে বলেন, ‘যে দলেরই হোক, কারও ব্যক্তিগত কিংবা দলীয় অফিস বিএনপির নামে দখলের সুযোগ নেই। বিষয়টি জানা ছিল না। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, ‘বিভিন্ন কাজের চাপে বিষয়টি আমাদের নজরে আসেনি। তবে শিগগির এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এভাবে সম্পত্তি দখল করে রাজনৈতিক কার্যালয় করার কোনো সুযোগ নেই।’

আরও পড়ুন

×