ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

খুলনায় ইজিবাইক চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু

খুলনায় ইজিবাইক চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু

ছবি: ফাইল

খুলনা ব্যুরো

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | ০৭:২৬

ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। প্রথম দিন নগরীর গল্লামারী, রূপসা ও দৌলতপুর মোড়ে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে নগরীর বাইরের ইজিবাইক প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি নগরীতে অনুমোদনহীন ইজিবাইক চলাচল বন্ধে মাইকিং করা হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন সতর্কতামূলক এই কার্যক্রম চলবে। আগামী সপ্তাহ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে।  

কেসিসি সূত্র জানায়, ২০২০ সালে প্রথমবার যাত্রীবাহী ৭ হাজার ৮৯৭টি ইজিবাইককে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। ২০২২ আরও ১ হাজার ৭৯২টি পণ্যবাহী ইজিবাইক চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। অথচ নগরীতে ইজিবাইক চলাচল করে প্রায় ২০ হাজার। অতিরিক্ত ইজিবাইকের কারণে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে যানজট লেগেই থাকে। একাধিকবার ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিলেও কাজ হয়নি।

৫ আগস্টের পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকরা কেসিসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণের দাবি তোলা হয়। মূলত শিক্ষার্থীদের চাপের কারণেই কেএমপি ও কেসিসি যৌথভাবে ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয়। 

কেসিসির সিনিয়র লাইসেন্স অফিসার মনিরুজ্জামান রহিম জানান, বাইরের উপজেলা থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার ইজিবাইক নগরীতে প্রবেশ করে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় লাইসেন্সবিহীন আরও কয়েক হাজার ইজিবাইক। এজন্য আমরা বাইরের ইজিবাইক প্রবেশ এবং লাইসেন্সবিহীন যান চলাচল বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছি। সচেতনামূলক কাজের অংশ হিসেবে রোববার থেকে আমরা মাইকিং ও চেকপোস্ট শুরু করেছি। নগরীর তিনটি মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে ইজিবাইক প্রবেশে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এক সপ্তাহ সচেতন করা হবে, এরপর মোবাইল কোর্ট বসিয়ে জরিমানা করা হবে। 

কেএমপির ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার শাহরিয়ার মোহাম্মদ মিয়াজী জানান, অবৈধ ইজিবাইক ও রিকশা বন্ধের জন্য ইতিমধ্যে মাইকিং করা হয়েছে। যারা নিয়ম মানবে না তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

×