ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

বাধ্য হলো অবাধ্য সন্তান ঘরে ফিরলেন বৃদ্ধা

বাধ্য হলো অবাধ্য সন্তান ঘরে ফিরলেন বৃদ্ধা

স্বামীর ভিটায় ফেরার পর সন্তান ও প্রশাসনের সদস্যদের সঙ্গে সাঁথিয়ার শাহিদা খাতুন সমকাল

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৪ | ২২:৪৩

পার্থিবতার মোহে অন্ধ সন্তান বুঝতে পারেনি মায়ের কষ্ট। সম্পত্তির লোভে গর্ভধারিণী মাকে করেছিল ঘরছাড়া। অবশেষে সেই অবাধ্য সন্তান বাধ্য হয়েছে বৃদ্ধাকে ঘরে তুলে নিতে। প্রশাসনের সহায়তায় স্বামীর ভিটায় ফিরেছেন সাঁথিয়ার শাহিদা খাতুন।
একমাত্র ছেলের নির্যাতনের মুখে ঘর ছাড়তে হয়েছিল উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের চকমধুপুর গ্রামের মৃত মোকছেদ আলমের স্ত্রী শাহিদা খাতুনকে। তাঁর সেই কষ্টের কথা উঠে আসে ১৭ অক্টোবর দৈনিক সমকালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে। সেই প্রতিবেদন নজরে পড়তেই ওই মায়ের পাশে দাঁড়ান সাঁথিয়ার পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি। শুক্রবার তাদের উপস্থিতিতে শাহিদা খাতুনকে ঘরে তুলে নেন ছেলে শাহ আলম।
জানা যায়, স্বামীর মৃত্যুর পর অধিকাংশ সময় মেয়ে মাহফুজা খাতুনের বাড়িতেই থাকতেন শাহিদা খাতুন। ১৫ অক্টোবর বিকেলে স্বামীর ভিটায় গেলে তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেন শাহ আলম ও তাঁর স্ত্রী-নাতিরা। সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। এর পর চার দিন বাড়ির বাইরেই বসে ছিলেন মা। তা দেখেও মন গলেনি পাষাণ সন্তানের।
স্বামীর ভিটায় ফেরার পর শাহিদা খাতুন জানান, ছেলে তাঁকে মেনে নিয়েছে। তিনি ছেলেকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। জীবনের বাকি সময়টুকু ছেলে-নাতি পরিবার নিয়ে একসঙ্গে কাটিয়ে দিতে চান। স্বামীর ভিটাতে একসঙ্গেই থাকবেন তারা সবাই।
মাহফুজা খাতুন জানান, মায়ের সঙ্গে ভাইয়ের ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে এবং তিনি এখন ছেলের কাছেই থাকবেন। ভাই ও তাঁর পরিবার মাকে যত্নে আগলে রাখবেন বলে জানিয়েছেন। এতে তারা সবাই আনন্দিত।
শাহ আলম জানান, সম্পত্তি নিয়ে পরিবারের সবার মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছিল। সম্পত্তির চেয়ে পরিবার বড়। তিনি তা বুঝতে পেরেছেন। এখন থেকে যত্নে আগলে রাখবেন মাকে।
সাঁথিয়া থানার ওসি সাইদুর রহমান জানান, শাহিদা খাতুন ও তাঁর ছেলের মাঝে চলমান দ্বন্দ্ব আপস মীমাংসার মাধ্যমে নিরসন হয়েছে।

আরও পড়ুন

×