ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

দাবি না মানলে ঢাকা অবরোধ

কুমিল্লায় ৮ দাবিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের গণসমাবেশ

কুমিল্লায় ৮ দাবিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের গণসমাবেশ

সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চার গণসমাবেশ

কুমিল্লা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪ | ১৮:১৬ | আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪ | ১৮:২০

ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচার, সংখ্যালঘু কমিশন সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন এবং দুর্গাপূজায় ৫ দিন ছুটিসহ ৮ দফা দাবিতে কুমিল্লায় গণসমাবেশ ও মিছিল করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৩৬টি সংগঠন নিয়ে গঠিত সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চা।

শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বর এলাকায় ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে নগরীর বিভিন্ন সড়কে মিছিল বের করা হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লায় এটাই ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় শোডাউন। অবিলম্বে তাদের ৮ দফা দাবি না মানলে সারা দেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন নিয়ে ঢাকা অবরোধ করার হুমকি দেওয়া হয় এতে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি চন্দন রায়।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ তাপস কুমার বকশি, মহানগর শাখার আহ্বায়ক খোকন চন্দ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্মল পাল, সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ সরকার, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত দাস টিটু, হিন্দু মহাজোট জেলা শাখার আহ্বায়ক অসীম বর্দ্ধন অপু।

ঐক্য মোর্চার বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন শ্যামল কুমার কুন্ডু, উল্লাস দে শুভন, শ্যামল দে প্রমুখ। পরে নগরীতে একটি মিছিল বের করা হয়।

দাবি না মানলে ঢাকা অবরোধ

সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে তাদের ঘোষিত দাবিসমূহ বাস্তবায়ন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এসময় বক্তারা বলেন, ৮ দফা না মানলে সারা দেশের হিন্দু সম্প্রদায় বসে থাকবে না। তারা ঢাকা অবরোধ করবে। তাই আমরা আগেই হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি। আমাদের দাবি মেনে নিন। রানা দাশগুপ্ত ও চিন্ময়ের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, তা প্রত্যাহার করুন।

সভাপতির বক্তব্যে চন্দন রায় বলেন, ৪৭ এর পর থেকে আমরা অত্যাচারিত। সরকার আসে সরকার যায়। বিগত সরকারের পতন হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম শান্তি পাবো। কিন্তু আর পেলাম কোথায়? আমাদের ভাইদের ওপর হামলা হয়েছে। আমাদের মা বোনদের ওপর হামলা হয়েছে। অথচ এই বিপ্লবে আমাদের অংশগ্রহণ কোনো অংশে কম নয়। সুতরাং আমাদের ওপর হয়রানি বন্ধ করতে হবে। না হয় সারা দেশে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এর আগে ওই সমাবেশকে ঘিরে নগরীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। দুপুর আড়াইটার পর থেকে নগরী ছাড়াও এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজন মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসতে শুরু করেন। বিকেল ৪টার মধ্যে পূবালী চত্বরসহ আশপাশের রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে মানুষের ঢল।

আরও পড়ুন

×