কলেজছাত্রের লাশ হাসপাতালে রেখে ‘পালাল বন্ধুরা’
পরিবারের দাবি, পিটিয়ে হত্যা

আলী হোসেন সৌরভ
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪ | ১৮:৪৯
বগুড়ায় আলী হোসেন সৌরভ নামে এক কলেজছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার রাতে সদর উপজেলার ঠেঙ্গামারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার আব্দুল মোমেনের ছেলে সৌরভ। তিনি সদরের টিএমএসএস টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১১টার দিকে ঠেঙ্গামারা এলাকার একটি দোকানে চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে বসেছিলেন সৌরভ। দু’জনেই টিএমএসএস টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী। এ সময় সেখানে দুটি মোটরসাইকেলে তাদের চার বন্ধু আসেন। তারা সৌরভকে ডেকে মোটরসাইকেলে বসিয়ে নিয়ে যান। আধাঘণ্টা পরে সৌরভকে নিয়ে যাওয়া তার বন্ধুদের মধ্যে একজন মোবাইল ফোনে স্বজনদের জানান, তিনি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। তাকে টিএমএসএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে স্বজনরা হাসপাতালে গিয়ে সৌরভের মরদেহ দেখতে পান। যারা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
টিএমএস হাসপাতালে এ সময় দায়িত্বরত ছিলেন ডা. শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, দু’জন এসে দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে বলে সৌরভকে হাসপাতালে রেখে চলে যায়। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জানা যায়, হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, যা দেখে দুর্ঘটনা বলে মনে হচ্ছে না।
সৌরভের বাবা আব্দুল মোমেনের অভিযোগ, তার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার পর সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় তিনি হত্যা মামলা করবেন।
সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন বলেন, সৌরভের পা ও মাথাসহ শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি হত্যাকাণ্ড। তাকে রেখে বন্ধুদের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।