ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে রমেকে শাটডাউন কর্মসূচি

অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে রমেকে শাটডাউন কর্মসূচি

ছবি-সমকাল

রংপুর অফিস

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪ | ১৯:০৪

অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে রংপুর মেডিকেল কলেজে অব্যাহত রয়েছে আন্দোলন। দাবি আদায়ে মঙ্গলবার হাসপাতালে দু’ঘণ্টার কর্মবিরতি ও বুধবার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষ্যম্যবিরোধী চিকিৎসক, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। 

সোমবার দুপুরে অধ্যক্ষ ডা. মাহফজার রহমানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে আন্দোলনকারীরা। কলেজের ক্লাস বর্জনসহ সবধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলনে অংশ নেয় সাধারণ শিক্ষার্থীসহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সেস এ্যাসোসিয়েশন ও ইর্ন্টান চিকিৎসকরাও। বিক্ষোভ মিছিলটি রংপুর মেডিকেল কলেজ চত্বর ঘুরে ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এসময় বুধবার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সমাবেশ বক্তব্য দেন কলেজ উপাধ্যক্ষ সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, শিক্ষার্থী নিয়াজ শরীফ, নাজমুল সাদাকাত তানজিল, ফাতেমা আজাদ প্রমুখ। 

বৈষ্যম্যবিরোধী চিকিৎসক, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. শরিফুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পৃষ্ঠপোষক সাবেক উপাধ্যক্ষ মাহফুজার রহমানকে অধ্যক্ষ পদ থেকে সরাতে হবে। দাবি আদায়ে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত দু’ঘণ্টার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করা হবে। বুধবার পালন করা হবে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি।

গত ২৯ অক্টোবর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুহাম্মদ মকবুল হোসেনের সই করা চিঠিতে রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে শাহ মো. সরওয়ার জাহানকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। একই কলেজের উপাধ্যক্ষ মাহফুজার রহমানকে অধ্যক্ষ এবং সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়। পরের দিন  থেকে নতুন অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক, কর্মচারী ও ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। 

অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ ডা. মাহফুজার রহমান বলেন, গত পাঁচ বছরে রংপুর মেডিকেল কলেজে দু’জন অধ্যক্ষ নিয়োগ পেয়েছেন। সব ধরনের যোগ্যতা থাকা সত্যেও উপাধ্যক্ষ পদ থেকে আমাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর সার্বিক খোঁজখবর নিয়েই আমাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। অথচ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন একটি রাজনৈতিক দলের চিকিৎসকসহ শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন

×