খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার
সবজি ও মাছ চাষের সার-ফিডে ভারী ধাতু, ঢুকছে মানবদেহে

ছবি: সমকাল
খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪ | ১৮:৪৩
শাকসবজি, চিংড়ি ও তেলাপিয়া মাছ চাষে ব্যবহার করা সার ও ফিডে থাকছে ভারী ধাতু। সেখান থেকে মানবদেহে ঢুকছে ক্ষতিকর এসব ধাতু। খাবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন এভাবে মানবদেহে ভারী ধাতু ঢুকে ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকি তৈরি করছে।
সোমবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে একটি গবেষণা নিয়ে সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
খুবির পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের ‘বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চাষ করা শাকসবজি, তেলাপিয়া ও চিংড়িতে ভারী ধাতু দূষণ: সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি হাইলাইট করতে গবেষণা’ শীর্ষক এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সুন্দরবন ও সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকার নানা সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা করছেন। জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত এসব গবেষণার ফল চাষীসহ প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মাধ্যমে এগুলো পলিসি মেকারদের সামনেও তুলে ধরতে হবে। যেন দায়িত্বশীলরা এসব ফলাফলকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুনর রশিদ খান বলেন, শাকসবজি ও মাছ চাষে ভারী ধাতু ব্যবহারের কারণে মানবদেহের ক্ষতি হচ্ছে। মরণঘাতী ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে। অনেক সময় দেখা যায়, তেজস্ক্রিয় পদার্থ পানিতে ফেলার কারণে তা মাটিতেও মিশে যাচ্ছে। পরবর্তীতে মাছ ও উদ্ভিদের মাধ্যমে তা মানবদেহে প্রবেশ করছে।
সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে খুবি ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. নুরুন্নবী এবং অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ। মডারেটর ছিলেন সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্পের মুখ্য গবেষক অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী। গবেষণালব্ধ ফলাফল উপস্থাপন করেন প্রকল্পের রিসার্চ ফেলো সজিব রায়।
- বিষয় :
- খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
- খুবি
- ভারী ধাতু