তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তবে এসএসসি পাস

জয়নুল আবেদীন জয়
সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪ | ০০:৫৭
তিনি এসএসসি পাস। তবু একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এক মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকের নাম ও সনদ নম্বর ব্যবহার করে চার বছর ধরে চিকিৎসা করছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভুয়া চিকিৎসক জয়নুল আবেদীন জয় ওরফে আরিফ হাসানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়। সিদ্ধিরগঞ্জের ডেমরার বাদশা মিয়া রোডের নিউ টাউন আবাসিক এলাকার ফেইথ পয়েন্ট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তাঁকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি মাদারীপুরের শিবচর থানার সুতারপাড়া গ্রামের মৃত মজিদ ব্যাপারীর ছেলে।
জয় এমবিবিএস (ঢাকা) এমএস অর্থোপেডিক সার্জারি, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাড়জোড়া, পঙ্গু ও বাত রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন টাইটেল ব্যবহার করতেন। ঢাকার সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ আরিফ হাসানের নাম ও তাঁর সনদ বিএমডিসি রেজিঃ নম্বর এ-৮১৯৮৩ ব্যবহার করতেন জয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে প্রকৃত চিকিৎসক আরিফ হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার রাতে ডেমরা থানায় জয়ের নামে মামলা করেন।
অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের মালিকদের যোগসাজশে চার বছর ধরে ফেইথ পয়েন্ট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও সেইফ ফার্মাসহ আরও কয়েকটি হাসপাতাল এবং কনসালট্যান্ট চিকিৎসক হিসেবে অনকলে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা করে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন জয়।
এ বিষয়ে ফেইথ পয়েন্ট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার মো. মেহেদী বলেন, তারা এ হাসপাতালটি নিয়েছেন মাত্র ৮ মাস আগে। এর আগে অন্য মালিকানায় থাকার সময় থেকেই জয় সেখানে মাঝেমধ্যে রোগী দেখতেন। তারা তাঁকে আসল চিকিৎসক হিসেবেই জানতেন। কিন্তু তিনি তাঁর পরিচয় গোপন রেখে তাদের সঙ্গেও প্রতারণা করেছেন।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন বলেন, গত ২৬ অক্টোবর এনাম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক আরিফ হাসান তাঁর ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, তাঁর নিজের সনদ নম্বর ব্যবহার করে অন্য একজন চিকিৎসক হিসেবে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে এসে খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে প্রমাণ পান তিনি। এরপরই তিনি বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে তারা ভুয়া চিকিৎসক জয়কে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠান। গ্রেপ্তার জয় জানিয়েছেন, তিনি এসএসসি পাস করেছেন। এরপর আর লেখাপড়া করেননি।
- বিষয় :
- প্রতারক