সাবেক এমপি খন্দকার নাসিরের বিরুদ্ধে সাংবাদিকের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ

ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক সাংবাদিকের বাড়ি ভাঙচুর ও জীবননাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বোয়ালমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গোলাম রসূল। এর আগে বুধবার রাতে ভুক্তভোগী সাংবাদিক খন্দকার আব্দুল্লাহ ওরফে তুষার বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কামারহাটি গ্রামের বাসিন্দা মৃত সাফায়াত খন্দকার সাফুর ছেলে মো. আব্দুল্লাহ ওরফে তুষারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের জমিজমা নিয়ে পূর্ব থেকে বিরোধ চলছিল। সেই জেরে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা গত ১২ নভেম্বর রাত ৮টায় রাজধানী টিভি’র সাংবাদিক খন্দকার আব্দুল্লাহর বাড়িতে হামলা চালিয়ে সিসি ক্যামেরা ও ঘরের ভেতরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এ সময় হামলাকারীরা ৫০ হাজার টাকা ও ডিএসএলআর ক্যামেরা নিয়ে যায়। সবার হাতে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটায় সজ্জিত ছিল বলে জানান। বাড়িতে হামলা চালালে খন্দকার আব্দুল্লাহ ও তার মা ঘর থেকে বেড়িয়ে নিরাপত্তা স্থানে চলে যায়।

আব্দুল্লাহর মা আফরোজা বেগম জানান, আমাদের সঙ্গে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তার জের ধরে আমার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি ও আমাদের বাড়িতে রাতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। আমরা এর বিচার চাই। খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বিএনপির বড় নেতা হয়ে গেছে। সেই দাপটে কাউকে সে মানুষ মনে করছে না। আমার ও আমার ছেলের জীবনের নিরাপত্তা নেই। প্রশাসনের কাছে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা চাই।

খন্দকার আব্দুল্লাহ বলেন, আমার বাবার সঙ্গে আমার চাচা খন্দকার নাসিরুল ইসলামের জমিজমা নিয়ে বিরোধ লেগেছিল। সেই থেকে আমাদের ওপর সে অত্যাচার ও নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিল। সম্প্রতি কিছুদিন আগে আমার চাচা খন্দকার নাসিরুল ইসলাম নাসির ফোনে আমাকে মারার ও বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন। সে ফোনালাপ ফাঁস হয়ে গিয়েছে। তার প্রেক্ষিতে আমাদের ওপর ১২ নভেম্বর রাতে তার লোকজন দিয়ে হামলা চালায়। আমি এর সঠিক বিচার চাই। সেই সঙ্গে প্রশাসনের কাছে আমাদের জানমালের নিরাপত্তা চাই।

খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, আব্দুল্লাহ আমার ভাতিজা। সে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে গিয়ে আমার নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করায় আমি তাকে শাসিয়েছি। তবে তার বাড়ি ঘর কে বা কারা ভেঙেছে আমি জানি না। তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানাই।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম রসূল বলেন, খন্দকার আব্দুল্লাহ একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত করে সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।