ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

মাহমুদুর রহমান

গণমাধ্যম ব্যবহার করে আর কেউ যেন দানব হতে না পারে

গণমাধ্যম ব্যবহার করে আর কেউ যেন দানব হতে না পারে

ছবি: সমকাল

রংপুর অফিস, নীলফামারী ও পীরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২১:৪১ | আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২২:১০

ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের আমলে সত্য প্রচারে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, পতিত সরকার সাংবাদিকদের ওপর অব্যাহতভাবে চাপ প্রয়োগ করত, অপপ্রচারে বাধ্য করত। এর সঙ্গে ছিল করপোরেটদের প্রভাব; বাণিজ্যের স্বার্থে তারাও গণমাধ্যমকে স্বাধীন হতে দেয়নি। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান প্রকৃত স্বাধীনতা এনেছে, নতুন বাংলাদেশ দিয়েছে। এই স্বাধীনতা কাজে লাগিয়ে সত্য প্রচারে নির্ভীক হতে হবে। করপোরেট প্রভাবমুক্ত হয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করতে হবে। অন্যথায় আবারও সংবাদমাধ্যমগুলো ব্যবহার করে নতুন ফ্যাসিবাদ ও দানবের জন্ম হবে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাব মিলনায়তনে রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরপিইউজে) ও রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের যৌথ আয়োজনে ‘বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে কেমন সংবাদমাধ্যম চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীন সাংবাদিকতা রুখতে ফ্যাসিবাদী সরকার ডিজিটাল আইন, পিতা আইন, তথ্যপ্রযুক্তি আইন, সাইবার আইনসহ নানা নিপীড়নমূলক আইন তৈরি করেছে। কিন্তু এগুলোর বিরুদ্ধে কেউ আজকাল কথাও বলে না। কালো আইন বানিয়ে পতিত সরকার সত্য প্রচারে বাধা দিত, সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও গুম করত। কিন্তু আর কাউকে সাংবাদিকদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে দানব হতে দেওয়া যাবে না।

অনুষ্ঠানে রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরপিইউজে) সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দৈনিক আমার দেশের বার্তা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, পরিচালক শাকিল ওয়াহেদ, ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-আইইবি সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু প্রমুখ।

এর আগে শুক্রবার সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন মাহমুদুর রহমান।

যমুনা সেতুর নাম পরিবর্তন করে শহীদ আবু সাঈদ সেতু করতে হবে

পরে রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুর গ্রামে শহীদ আবু সাঈদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মাহমুদুর রহমান। 

এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার জল্লাদদের সামনে যেভাবে বীরদর্পে দু’হাত প্রসারিত করে দাঁড়ান আবু সাঈদ, তা শতাব্দীর পর শতাব্দী দেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে। তাঁকে স্মরণীয় করে রাখতে অনেক উদ্যোগ নিতে হবে। সবার আগে যমুনা সেতুর নাম পরিবর্তন করে শহীদ আবু সাঈদ সেতু রাখতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের মানুষের দাবির সঙ্গে আমি একমত। এ অঞ্চলের মানুষ যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত, সর্বশেষ উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের ক্ষেত্রেও তারা বৈষম্যের শিকার হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকারে পতিত সরকারের অনেক সুবিধাভোগী জায়গা পেলেও উত্তরের অবহেলিত জনপদের কেউ নেই। এসব বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার নজর দেওয়া উচিত।’

আরও পড়ুন

×