টেকনাফে খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে মারা পড়ল বন্যহাতি

খাবারের সন্ধানে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যায় হাতিটি
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ জুন ২০২০ | ০৪:২৬ | আপডেট: ১২ জুন ২০২০ | ০৫:১৩
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় মরিচ্যাঘোনা পাহাড়ি এলাকায় খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক বন্যহাতি মারা গেছে। বন বিভাগ ধারণা করছে, পাহাড়ি এলাকায় নিয়মবহির্ভূতভাবে খুঁটি স্থাপন করে বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে বন্যহাতিটির মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার বেলা তিনটায় হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যাঘোনার পাহাড়ি খন্ডা কাটা নামক এলাকা থেকে মৃত হাতিটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানায়, শুক্রবার ভোরে গহীন পাহাড় থেকে খাবারের সন্ধানে বের হয় পুরুষ হাতিটি। পরে মরিচ্যাঘোনার পাহাড়ি খন্ডাকাটা এলাকার ঘুরতে দেখা যায়। একপর্যায়ে সেখানে দুই পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত বৈদ্যুতিক খুঁটির সংযোগ লাইনের সংর্স্পশে গেলে হাতিটিকে চিৎকার করতে শোনা যায়। তবে ভয়ে কেউ এগিয়ে যায়নি। পরে সকালে বৈদ্যুতিক খুঁটির পাশে হাতির মৃতদেহ দেখে বনবিভাগকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা যায়, হ্নীলা বন বিট কার্যালয় ৭ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ি জমিতে একটি বিশালাকার হাতি পড়ে আছে। বন বিভাগের লোকজন হাতিটির চারপাশে খুঁটি দিয়ে ঘিরে রেখেছেন। কয়েকজন বনপ্রহরী হাতিটিকে পাহারা দিচ্ছেন। স্থানীয় লোকজনকে হাতির আশপাশে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না। হাতির শুঁড়ে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
বনবিভাগের টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক আহমেদ বলেন, হাতিটির বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসে বিদ্যুতের শক লাগার কারণে হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। হাতিটিকে মাটিচাপা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি আরও বলেন, পাহাড়ি এলাকায় নিয়মবহির্ভূতভাবে বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন করে বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে আইনি প্রস্তুতি চলছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, হাতির মৃত্যুর ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। পাহাড়ি এলাকায় কিভাবে বিদ্যুতের খুঁটিতে গেলে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারো গাফলতি ফেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
- বিষয় :
- বিদ্যুৎস্পৃষ্ট
- বন্যহাতির মৃত্যু
- টেকনাফ