ছাড়পত্র ছাড়াই ৩২ বছর ধরে চলছে ইটভাটা

খুলনার কয়রায বারবার অভিযোগের পরও এ অবৈধ ইটভাটাটি বন্ধ হয়নি সমকাল
কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৪ | ২৩:৪১
খুলনার কয়রা উপজেলার জায়গীরমহল গ্রামে ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ইটভাটা। কার্যক্রম বন্ধে দীর্ঘদিন ধরে লিখিত অভিযোগ করে আসছেন এলাকাবাসী। কিন্তু আজও বন্ধ হয়নি। এবার বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ করেছেন মো. আক্তার মোল্যা।
মো. আক্তার মোল্যা বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া ৩২ বছর ধরে ইটভাটাটি চালানো হচ্ছে। শুরু থেকেই প্রতিবাদ করে যাচ্ছি। অনেকবার মানববন্ধনসহ সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। ভাটা মালিকের রাজনৈতিক প্রভাব ও
প্রশাসনের সঙ্গে সখ্যের কারণে কাজ হয়নি।
১৮ নভেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
ইটভাটাটির মালিক কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও আমাদি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আমির আলী গাইন। ভাটার ১০০ মিটারের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থাকার বিধান না থাকলেও তাঁর ভাটার চারপাশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয়, দুটি ব্যাংক, ইউনিয়ন পরিষদ ও বাজার রয়েছে।
জায়গীরমহল গ্রামের দিলরুবা মিজান বলেন, ইট পোড়ানোর মৌসুমজুড়ে জানালা-দরজা বন্ধের প্রস্তুতি নিতে হয়। ভাটার ধুলায় ঘরে রান্না করাও দায় হয়ে পড়ে। ভাটা থেকে ইট পরিবহনের জন্য সকাল থেকে রাত অবধি ট্রলি চলাচল করায় স্কুলের শিক্ষার্থীরাও আতঙ্কে থাকে। মালিককে কিছু বলতে গেলেই হুমকি ও মামলার ভয়ভীতি দেখান।
জানতে চাইলে মেসার্স আমির ব্রিকসের মালিক আমির আলী গাইন বলেন, এলাকায় ইটের চাহিদা থাকায় এখানে ভাটা তৈরি করা হয়েছে। ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছি। এখনও পাইনি। ছাড়পত্র ছাড়া ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা বৈধ কিনা, জিজ্ঞেস করলে উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলী বিশ্বাস বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে ইটভাটা কোনোভাবেই গড়ে উঠতে পারে না। ওই ইটভাটার কোনো বৈধতাও নেই। এর আগে কী হয়েছে জানি না। তবে এবার দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- বিষয় :
- ইট ভাটা