লোকালয়ে ঘুরছে মুখপোড়া হনুমান

উল্লাপাড়ার সড়াতৈল গ্রামে একটি বাড়ির চালায় বসে আছে মুখপোড়া হনুমান সমকাল
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২২:৫৯
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দলছুট হয়ে দুটি মুখপোড়া হনুমান এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের উপজেলার সড়াতৈল, বড়হর, বোয়ালিয়া, পাগলা, তেঁতুলিয়া, অলিপুর, পেচরপাড়া ও ব্রহ্মকপালিয়া গ্রামে দেখা গেছে। স্থানীয় লোকজন তাদের পাউরুটি, বিস্কুট, কেক বা কলা কিনে খেতে দিচ্ছেন। অনেকে বাড়ি থেকে খাবার প্রস্তুত করে থালায় তাদের সামনে পরিবেশন করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, হনুমান দুটি কখনও একসঙ্গে থাকছে না। বিচ্ছিন্নভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কখনও গাছের মগডালে, কখনও মাঝামাঝি, আবার কখনও মানুষের ঘরের চালায় বা দোকানপাটের ওপরে বসছে।
সড়াতৈল মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান তালুকদার বলেন, স্থানীয় কিছু দুষ্টু ছেলেমেয়ে হনুমানের দিকে ঢিল ছুড়ছে। এতে বিরক্ত হয়ে এলাকা ত্যাগ করছে তারা। তবে শিক্ষকরা তাদের গায়ে আঘাত করা থেকে বিরত থাকতে বলছেন। অনেক পরিবার খাবারও দিচ্ছে। সামনে থালা পেলে মানুষের মতোই খাচ্ছে তারা।
অলিপুর গ্রামের জীম তালুকদারের ভাষ্য, হনুমানগুলো ক্ষুধার্ত বলে মনে হচ্ছে। অনেক আগ্রহভরে মানুষের দেওয়া খাবার নিচ্ছে তারা। ছুড়ে দেওয়া পাউরুটি বা কলা হাতে নিয়ে গাছের ওপরে উঠে খেতে দেখা যাচ্ছে তাদের। স্থানীয় লোকজন তাদের প্রতি যথেষ্ট মানবিক ও সহানুভূতিশীল।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মতলুবুর রহমান বলেন, হনুমান ঠিকমতো খাবার না পেলে বন থেকে লোকালয়ে চলে আসে। এ দেশে হনুমানগুলো যশোর, সাতক্ষীরা বা বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ফল বা আমদানি করা পণ্যের ট্রাকে উঠে চলে আসে এ দেশে। তাদের ধরে বনে পাঠানোর নিয়ম নেই। যে এলাকায় খাবারের নিশ্চয়তা আছে, সেসব স্থানে তারা বেশি থাকে।
এসব প্রাণীকে বিরক্ত বা আঘাত করা নিষিদ্ধ জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, বন বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজনকে দলছুট হনুমানকে খাবার না দিতে বলা হয়। এতে তারা খাবার না পেয়ে আবার আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারে।
- বিষয় :
- হনুমান