ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

আ.লীগের সময়ে তৈরি ন্যারেটিভের বাইরে কিছু শোনা যেত না: পিআইবি মহাপরিচালক

আ.লীগের সময়ে তৈরি ন্যারেটিভের বাইরে কিছু শোনা যেত না: পিআইবি মহাপরিচালক

রোববার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সংবাদ না বয়ান; গণমাধ্যমের ঝোঁক ও ঝুঁকি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেন পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। ছবি: সমকাল

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২২:৪৬ | আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ০১:২১

আওয়ামী লীগের সময়ে গণমাধ্যমে উন্নয়নের বয়ান তৈরি করা হয়েছিল। গণমাধ্যমের সহযোগিতা ছাড়া বিগত সরকার এত বছর টিকে থাকতে পারত না। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রোববার ‘সংবাদ না বয়ান; গণমাধ্যমের ঝোঁক ও ঝুঁকি’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন বক্তারা। এর আয়োজক প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মূল আলোচক পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, প্রধান অতিথি উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, আলোচক যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোরশেদুল ইসলাম এবং কবি, বুদ্ধিজীবী ও ক্রিটিক রিফাত হাসান। যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলী আর রাজী সেমিনারের সঞ্চালনা ও সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘মিডিয়ার সহযোগিতা ছাড়া ফ্যাসিস্ট সরকার এত বছর টিকে থাকতে পারত না। আওয়ামী লীগের সময়ে সংবাদমাধ্যমে উন্নয়নের যে বয়ান তৈরি করা হয়েছিল সুন্দর সোনার বাংলার, সেই বয়ান বা ন্যারেটিভের বাইরে কিছু শোনা যেত না। এই ন্যারেটিভের বাইরে কেউ কিছু বলার চেষ্টা করলে তাদের লিমিটেড স্বাধীনতা দেওয়া হতো। বলতে পারবে, কিন্তু শুনবে না, মিডিয়ায় আসবে না, রাষ্ট্র শুনবে না, ধরে নেওয়া হবে, এই কথাটা বলা হয়নি। এই অভিযোগ করা হয়নি। এভাবে সুন্দর সোনার বাংলার বয়ানের মাধ্যমে সার্বভৌমত্ব, অর্থনীতি, জীবন ও জবান চুরি করা হয়েছিল। এর সহযোগিতা করেছিল মিডিয়া।’

রিফাত হাসান বলেন, ‘মিডিয়া হচ্ছে এমন জাদুকর, যার ইচ্ছাশক্তির ওপর আপনি কখনও শয়তান, কখনও ফেরেশতা হয়ে উঠতে পারেন। তাই আমি মিডিয়ার স্বাধীনতার চেয়ে নৈতিকতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি।’

ড. মোহাম্মদ মোরশেদুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত সময়ে দেখা গেছে, গণতন্ত্রের সূচক যতটুকু নেমেছে, প্রেস ফ্রিডমও ততটুকু কমেছিল।’
উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ‘সাংবাদিকদের নির্ধারণ করতে হবে তারা সত্যসন্ধানী  হবেন, নাকি রাষ্ট্রীয় বয়ানকারী হবেন।’

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহায়তায় আয়োজিত সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন

×