ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করল পুলিশ

অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করল পুলিশ

বিয়ানীবাজারের শালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের কয়েকজন সমকাল

 বিয়ানীবাজার (সিলেট) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ০০:৪০

বিয়ানীবাজারে অশালীন আচরণসহ নানা অভিযোগে অবরুদ্ধ এক প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার শালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদুর রহমানকে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের কক্ষে  ৮ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। সোমবার দুপুর ১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। শিক্ষার্থীরা জানায়, অশোভন আচরণের কারণে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাঁকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল।
এদিকে মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষক জাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। শিক্ষক জাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার, বিদ্যালয়ের ব্যাপারে এখতিয়ারবহির্ভূত সিদ্ধান্ত নেওয়া ও এককভাবে প্রতিষ্ঠানে নিজের কর্তৃত্ব স্থাপনের কথা তুলে ধরেন স্থানীয়রা। এ সময় তারা বিদ্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষক জাহিদুর রহমানের অপসারণ দাবি করেন।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেও তাঁর বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর অভিযোগ করেছিলেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। সে সময় ইউএনও অভিযোগ তদন্ত করে দেখার পাশাপাশি ও প্রধান শিক্ষক জাহিদকে আচরণগত ত্রুটি পরিবর্তনের নির্দেশনা দেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, একাধিক শিক্ষক ও অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার দিন দুপুরে শালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক জাহিদুর রহমানকে নিজ কার্যালয়ে অবরুব্ধ করে। এ সময় এলাকার মুরব্বি, অভিভাবক ও জনপ্রতিনিধিগণ শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করলেও তারা নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে।
খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিভাবক ও স্থানীয় মুরব্বিসহ বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে। পরে রাত ৯টার দিকে প্রধান শিক্ষক জাহিদুর রহমানকে উদ্ধার করে ইউএনও কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম মুস্তফা মুন্না জানান, বিষয়টি আচরণগত। স্থানীয় কিছু বিষয়ের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের ইস্যুটি জড়িয়ে গেছে। আপাতত প্রধান শিক্ষককে ছুটি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয়রা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

×