শাটল ট্রেন চালুর আশ্বাসে পাটগ্রামে রেলপথ-মহাসড়ক অবরোধ প্রত্যাহার

শাটল ট্রেন চালুর আশ্বাস পেয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করেন আন্দোলনকারীরা। ছবি: সমকাল
পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) সংবাদদাতা
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ২০:৫৮
লালমনিরহাটের বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে সরাসরি আন্তঃনগর ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন’ চালুর দাবিতে মহাসড়ক-রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। লালমনিরহাট-ঢাকা রেলপথে চলাচলকারী আন্তঃনগর ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেসের’ যাত্রীদের জন্য লালমনিরহাট-বুড়িমারী রুটে একটি বিশেষ ‘শাটল ট্রেন চালুর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে’ এ ঘোষণা দেওয়া হয় আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে।
মঙ্গলবার বিকালে অবরোধ স্থগিত ঘোষণার পর মহাসড়ক-রেলপথে যান চলাচল শুরু হয়। অবরোধের কারণে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর, সরকারি কলেজ মোড়, সরেঅর বাজার, বাউরা বাজার এলাকায় আটকে ছিল শত শত যানবাহন।
আন্দোলনের সমন্বয়ক ও পাটগ্রাম পৌর বিএনপির সভাপতি মোস্তফা সালাউজ্জামান ওপেল বলেন, ইঞ্জিন ও কোচ সংকট কাটিয়ে বুড়িমারী-ঢাকা পথে সরাসরি ‘বুড়িমারী-এক্সপ্রেস’ চালু না হওয়া পর্যন্ত চার উপজেলার ওই ট্রেনের যাত্রীদের জন্য বুড়িমারী-লালমনিরহাট রুটে একটি শাটল ট্রেন চালুর আশ্বাস দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে আমরা আন্দোলন স্থগিত করছি।
আন্দোলন প্রত্যাহারের ফলে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের পাটগ্রাম অংশে ৩৫ ঘণ্টা পর যান চলাচল শুরু হয়। অপরদিকে গতকাল সন্ধ্যায় ৯ দিনের মাথায় বুড়িমারী-লালমনিরহাট পথে শুরু হয় ট্রেন চলাচল। এর আগে গত সোমবার রাতে হাতীবান্ধার আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নিলে মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয় এবং গতকাল সকাল থেকে লালমনিরহাট-হাতীবান্ধা পথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
এদিকে গতকাল বিকালে পাটগ্রাম শহীদ আফজাল মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেখানে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জি আর সারোয়ার, পাটগ্রামের ইউএনও জিল্লুর রহমান, ওসি আশরাফুজ্জামান সরকার, পৌর বিএনপির সভাপতি মোস্তফা সালাউজ্জামান ওপেল, বুড়িমারী এক্সপ্রেস বাস্তবায়ন সংগ্রাম উন্নয়ন পরিষদের আহ্বায়ক এ টি জে সিদ্দিকী কাঁকন ও সদস্য সচিব আকবর বিন আফছার।
বুড়িমারী এক্সপ্রেস চালুর পর থেকেই ট্রেনটি ঢাকা-লালমনিরহাট পথে চলাচল করছে। এতে জেলার আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার যাত্রীরা সরাসরি ট্রেনটির সুবিধা পাচ্ছে না।