ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

শাবি শিক্ষককে মারধর-হেনস্তা, প্রতিবাদে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ

শাবি শিক্ষককে মারধর-হেনস্তা, প্রতিবাদে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ

অবরোধে আটকে যাওয়া যানবাহন। ছবি-সমকাল

শাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৫ | ০৫:১৮

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) এক শিক্ষক হেনস্তা ও মারধরের শিকার হয়েছেন। রোববার রাত সোয়া ৮টার দিকে আখালিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। এদিকে ওই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা প্রায় আড়াই ঘণ্টা সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।

মারধরের শিকার ওই শিক্ষকের নাম অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্বালানি ও খনিজ প্রকৌশল (পিএমই) বিভাগের অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান। তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি মো. রাসেলকে রাত দুইটার দিকে আটক করেছেন সিলেট কোতোয়ালি থানা পুলিশ। পরে তাকে কোতোয়ালি থানায় নেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানান কোতোয়ালি থানার ওসি জিয়াউল হক।

জানা যায়, রোববার রাত সোয়া আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকা আখালিয়ায় মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের সামনে অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামের গাড়ির সঙ্গে এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল ধাক্কা লাগে। তখন ওই ব্যক্তি মোটরসাইকেল থেকে নেমে তাঁকে মারধর ও হেনস্তা করে। পরে আহত শিক্ষক পাশের হাসপাতালে ভর্তি হন। এদিকে এই ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে জানাজানি হলে তারা মাউন্ট এডোরার সামনে এসে বিক্ষোভ করে। প্রায় আধাঘণ্টা সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে বিক্ষোভ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এসে আবারও সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে।

অন্যদিকে আহত শিক্ষক শফিকুল ইসলামকে তখন মাউন্ট এডোরা থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় অবস্থায় সেনাবাহিনী আসে এবং শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।

শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ থেকে তিন দফা দাবি উপস্থাপন করেন- ১. অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার এবং শিক্ষকের নিকট উক্ত ঘটনার জন্য ক্ষমা চাওয়া। ২. শিক্ষকের মানহানি ও শারীরিক লাঞ্ছনার দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা এবং ৩. ঘটনার সময় অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেল জব্দ করা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। 

রাত দুইটার দিকে সিলেট শহরে অভিযান চালিয়ে হামলাকারী ব্যক্তি মো. রাসেলকে গ্রেপ্তার করেন সিলেট কোতোয়ালি থানা পুলিশ। কোতোয়ালি থানার ওসি জিয়াউল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে তাকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। এক পর্যায়ে সিলেট নগরী থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

আরও পড়ুন

×