ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

পুলিশের বিরুদ্ধে সাক্ষীর বক্তব্য পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ

পুলিশের বিরুদ্ধে সাক্ষীর বক্তব্য পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের বিরুদ্ধে সাক্ষীর বক্তব্য বদলে দেওয়ার অভিযোগ করেন বাদী রফিকুল ইসলাম

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫ | ০৫:৫৪

পুলিশের বিরুদ্ধে সাক্ষীর বক্তব্য বদলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার মির্জাপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন বাদী রফিকুল ইসলাম। ইটভাটার অংশীদারিত্ব ফিরে পেতে মামলা করেছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালে লতিফপুর ইউনিয়নের চানপুর এলাকায় গড়ে ওঠে মেসার্স বংশাই ব্রিকস অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স নামে একটি ইটভাটা; যার ১৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক খোকন মিয়া। তাঁর কাছ থেকে ৭ শতাংশ মালিকানা সাড়ে ১০ লাখ টাকায় কিনে নেন তিনি। কিন্তু খোকন মিয়া প্রতারণামূলকভাবে তাঁর মালিকানার ১৪ শতাংশই ইটভাটার অন্য এক মালিকের কাছে বিক্রি করে দেন।
বিষয়টি নিয়ে ২০২৪ সালে আদালতে মামলা করেছেন রফিকুল ইসলাম। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক এটিএম জহিরুল ইসলাম তাঁর কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বাদীপক্ষের সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়ে তা নিজের মনমতো বদলে দিয়ে আদালতে দাখিল করেছেন বলে অভিযোগ রফিকুলের।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত চার সাক্ষীর মধ্যে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দারোগার কাছে যে বক্তব্য দিয়েছি, তার সঙ্গে আদালতে দাখিল করা আমার সাক্ষ্যের কোনো মিল নেই। দারোগা তাঁর ইচ্ছামতো আমার সাক্ষ্য লিপিবদ্ধ করেছেন।’ অন্য তিন সাক্ষী আবুল হোসেন, সোলাইমান ও সুজন সিকদারও আদালতে দাখিল করা তাদের সাক্ষ্যের বিষয়ে একই ধরনের মন্তব্য করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি কুব্বত আলী মৃধা জানান, রফিকুলের বিষয়টি নিয়ে এসআই জহিরুল ইসলাম এবং ওসির সঙ্গে একাধিকবার কথা হয়েছে তার। এরপরও এ রকম প্রতিবেদন দেওয়া হলো।

এ ব্যাপারে খোকন মিয়ার ভাষ্য, ২০২০ সালে করোনাকালে রফিকুলকে তাঁর শেয়ারের টাকা ইট দেওয়ার মাধ্যমে ফেরত দিয়েছেন। কিন্তু তাঁকে স্ট্যাম্প ফেরত দেননি, যা নিয়ে থানায় অভিযোগও করেছেন তিনি। আইনে না পেরে এখন সাংবাদিকদের কাছে গিয়েছেন রফিকুল। এ নিয়ে এলাকায় একাধিক শালিস বৈঠক হয়েছে। কিন্তু রফিকুল কোনো কিছুই মানেন না।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক এটিএম জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সাক্ষীর বয়ানই সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করে আইনের ভাষায় সাজিয়ে লেখা হয়েছে। সাক্ষীরা যদি মনে করেন এটি তাদের বক্তব্য না বা এটি সঠিক নয়, তাহলে তারা আদালতে নারাজি দিতে পারেন। এই অধিকার তাদের আছে।’

আরও পড়ুন

×