ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

কারাগারে বসেই ভর্তি পরীক্ষা দিলেন সাংবাদিক জিসান

কারাগারে বসেই ভর্তি পরীক্ষা দিলেন সাংবাদিক জিসান

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫ | ২১:২৬

নারায়ণগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক জান্নাতুল ফেরদৌস জিসান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। শনিবার সকালে জেলা কারাগারের অফিস কক্ষে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের উপস্থিতিতে পরীক্ষা দেন তিনি।
 
জিসান নারায়ণগঞ্জের অনলাইন পত্রিকা ‘প্রেস নারায়ণগঞ্জের’ প্রতিবেদক। গত ৮ মে রাত ১১টায় নগরীর দেওভোগে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বাড়িতে যায় পুলিশ। খবর পেয়ে তাঁর সমর্থকরা এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। ছয় ঘণ্টা পর ৯ মে ভোরে পুলিশ আইভীকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নেয়ার সময় গাড়িবহরে হামলা হয়। 

এ ঘটনায় ১২ মে রাতে পুলিশের কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগে ৫২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫০-২০০ জনকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা হয়। এর বাদী একই থানার উপপরিদর্শক মো. রিপন মৃধা। ওই রাতেই পুলিশ মামলাটির আসামি হিসেবে সাংবাদিক জান্নাতুল ফেরদৌস জিসান, তাঁর বাবা হানিফ ও চাচা জনপ্রিয় ফুড ব্লগার শওকত মিথুনকে গ্রেপ্তার করে। কয়েক দফায় আদালতে তাদের জামিনের আবেদন করা হলেও আদালত নামঞ্জুর করেন। 

ছেলের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাংবাদিক জিসানের মা আছমা বেগম। তিনি বলেন, ‘বিনা অপরাধে আমার ছেলেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। এখন আমার ছেলে কারাগারে বসে বসে বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা দিচ্ছে। কিন্তু এই মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁর ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিলো।’

সাংবাদিক জিসান ও ব্লগার শওকত মিথুনের আইনজীবী আওলাদ হোসেনের ভাষ্য, গত ২৮ মে কারাগারে বসে জিসানের ভর্তি পরীক্ষাদানের অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (প্রথম) আদালতের বিচারক শহীদুল ইসলাম এ বিষয়ে জেলা কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন। শনিবার জিসান পরীক্ষায় অংশ নেন। 

জিসানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ও মামলাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও পরিকল্পিত উল্লেখ করে এই আইনজীবী বলেন, ‘আমরা শুনেছি, এলাকার এক বিএনপি নেতা বাণিজ্য করতে তাঁকে মামলায় ফাঁসিয়েছেন।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার মো. ফেরদৌস মিঞা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন শিক্ষক সিলগালা করা প্রশ্নপত্র নিয়ে এসেছিলেন। কারাগারের অফিস কক্ষের এক অংশ অস্থায়ী পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পরীক্ষার নির্ধারিত সময় বেলা ১১টায় প্রশ্নপত্র খোলা হয়। এক ঘণ্টা পরীক্ষা দেন জিসান।

আরও পড়ুন

×