ছাত্রদলের দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি মিছিল থেকে সংঘর্ষ, আহত ৫

শরীয়তপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫ | ২১:৩১ | আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫ | ২২:০৯
শরীয়তপুরে জেলা ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুর জেলা ছাত্রদলের সবশেষ কমিটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। দীর্ঘদিন পর মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করেন। এতে এইচ.এম জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক ও সোহেল তালুকদারকে সদস্যসচিব করা হয়।
তবে এই কমিটি ঘিরেই তৈরি হয় বিভক্তি। বিকেলে কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে একটি পক্ষ বিজয় মিছিল বের করে। অন্যদিকে, কমিটিতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে আরেকপক্ষ এর বিরোধিতা করে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
দু’টি মিছিল যথাক্রমে পালং মডেল থানার সামনের গেট এবং পেছনের গেট হয়ে যাওয়ার সময় মুখোমুখি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে একপক্ষ আরেকপক্ষের ওপর হামলা চালালে শুরু সংঘর্ষ। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নতুন কমিটির সদস্যসচিব সোহেল তালুকদার বলেন, ‘অনেক দিন পর জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি হয়েছে। তাই আমরা আজ আনন্দ মিছিল বের করলে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কে বা কারা হামলা চালায়। তখন আমরা তা প্রতিহত করি ও পরে মীমাংসা করে নিয়েছি।’
শরীয়তপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন বাবু মাদবর। তিনি বলেন, আহ্বায়ক জাকির হোসেন ২০০০ সালে পড়াশোনা শেষ করেছেন। তিনি শ্রমিক নেতা। এবং জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন।তিনি কিভাবে আহ্বায়ক হলেন? যাদের এই কমিটিতে থাকার কথা ছিল, তাদের বাদ দিয়ে এমন একজনকে আহ্বায়ক করা হয়েছে, যিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সভাপতি থেকেও বয়সে বড়। তার পরিবারের ৯৫ শতাংশ লোক আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এ ধরনের লোককে আমরা ছাত্রদলের পদে চাই না। তাই আমরা বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হলে আহবায়ক জাকির হাওলাদার আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক নিয়ে হেলমেট পরে আমাদের ওপরে হামলা চালান।’
এ বিষয়ে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলের দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ালে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ আগে থেকেই সতর্ক ছিল বলে বড় ধরনের অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।