ফরিদপুরে মোবাইল চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

ফরিদপুর অফিস
প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৫ | ০৩:৩৯
ফরিদপুরে লুডু খেলার সময় মোবাইল চুরির সন্দেহে ইজ্জল বেপারী (৪৫) নামে একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোববার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের কাছে মরদেহ তুলে দেওয়া হয়।
শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ব্যাপারিপাড়া গ্রামে কুমার নদের পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে রাত ১০টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইজ্জল বেপারী কানাইপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি এলাকার মন্টু মন্ডলের ছেলে। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে লুডুর জুয়া খেলা চলছিল। ইজ্জলের সঙ্গে যারা জুয়া খেলতেন তাদের একজনের মোবাইল চুরির জন্য ইজ্জলকে দায়ী করা হয়। এ ঘটনার সূত্র ধরে ইজ্জলের জুয়া খেলার সহযোগীরা শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তাকে ধরে কানাইপুরে ব্যাপারীপাড়া এলাকায় কুমার নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মারপিট করে কুমার নদের পানিতে চোবানো হয়।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইজ্জলের শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ জানায়, তার বাবাকে নদীর পাড়ে নিয়ে মারপিট করে নদীর পানিতে চোবানো হয়। পরে তার মুখে বিষ ঢেলে পানি খেতে বাধ্য করা হয়। একপর্যায়ে তার বাবার অবস্থা খারাপ হলে হামলাকারীরা তাকে রেখে পালিয়ে যায়।
ইজ্জলের স্ত্রী নবিরণ বেগম (৩৫) বলেন, ‘মোবাইল চুরি করেছে সন্দেহে এলাকার কয়েকজন লোক আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে ও চুবিয়ে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই।’
ফরিদপুর কোতয়ালি থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান বলেন, শনিবার রাত ১০টার দিকে ওই ব্যক্তিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। হাসপাতালে তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিষপান উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় রোববার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে মৃতের পরিবারের সদস্যদের হাতে মরদেহ দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
- বিষয় :
- পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ