ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

মুরাদনগরে নারীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫

মুরাদনগরে নারীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫

মুরাদনগরে নারীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার পাঁচজন

কুমিল্লা ও মুরাদনগর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৫ | ০৯:৩১ | আপডেট: ২৯ জুন ২০২৫ | ১২:০৭

কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে তার বাবার বাড়িতে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার একমাত্র আসামি ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার ভোরে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি একই উপজেলার বাহেরচর গ্রামের সহিদ মিয়ার ছেলে।

এর আগে শনিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি ফজর আলী

রোববার সকালে এসব তথ্য জানান কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন।

ফজর আলী ছাড়া গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- একই এলাকার আবদুল হান্নানের ছেলে সুমন, জাফর আলীর ছেলে রমজান, মো. আলমের ছেলে মো. আরিফ ও তালেম হোসেনের ছেলে মো. অনিক।

স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে উপজেলার একটি গ্রামে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ, ঘটনার রাতে তার বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। এ সময় ফজর আলী ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ঘটনার সময় আশপাশের কয়েকজন লোক এসে ভুক্তভোগী নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় মারধর করে। পরে ওই ঘটনার ভিডিও তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এ সময় অভিযুক্ত ফজর আলী পালিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওই নারীর স্বামী পাঁচ বছর ধরে প্রবাসে রয়েছেন এবং তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।

নারীকে নির্যাতনের ৫১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ১০/১২ জন যুবক বিবস্ত্র অবস্থায় ওই নারীকে মারধর করছে। আর ওই নারী বাঁচার জন্য চিৎকার করছেন।

কুমিল্লায় নারীর নগ্ন ভিডিওধারণ ও ভাইরালকাণ্ডে এই চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশমুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে ফজর আলীকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করলেও তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা ওই নারী পুলিশকে বলেনি। তবে ভিডিও ধারণ ও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ায় জড়িতদের শনাক্ত করে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন সমকালকে বলেন, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর ভিডিও ছড়ানোয় জড়িত চারজনকে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

×