ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে রফিকুল-রেহানা দম্পতির

খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে রফিকুল-রেহানা দম্পতির

নন্দীগ্রাম পৌরসভার গুন্দইল গ্রামের রফিকুল ইসলাম-রেহেনা দম্পতি সমকাল

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) সংবাদদাতা

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫ | ০০:০৫

বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম পৌরসভার গুন্দইল গ্রামের রেহানা-রফিকুল দম্পতির সন্তান নেই। বাস করেন টিনের খুপরি ঘরে। দু’জনই অসুস্থ। চলাফেরা করতে পারেন না। চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই। অর্ধাহার-অনাহারে কাটে দিন। সহায়তা না পেলে এখন বেঁচে থাকাটাই দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে তাদের। 
রফিকুল ইসলাম (৪৫) ও রেহানা খাতুন (৪৫) দম্পতির নিজের বলতে আছে ২ শতক জায়গার ওপর খুপরি ঘর। রফিকুল কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন। রেহানা খাতুন আগে থেকেই অসুস্থ। চলাফেরা করতে পারেন না। স্বামীর রোজগারের টাকায় তাদের সংসার ভালোভাবেই চলে যেত। দুই বছর আগে হার্টঅ্যাটাকে রফিকুলের হাত-পা অসাড় হয়ে যায়। এর পর থেকে চেয়েচিন্তে সংসার চলছিল। অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় ঘর থেকে বের হতে পারছে না এই দম্পতি। অন্যের দয়ায় কোনো দিন খাবার জোটে আবার কোনো দিন না খেয়ে থাকতে হয়। চিকিৎসা করানোর কথা ভাবতেই পারেন না তারা। 
রফিকুল ইসলাম বলেন, যখন ভালো ছিলাম কাজ করে স্ত্রীর চিকিৎসা করিয়েছি। সংসার চালাতেও সমস্যা হয়নি। দুই বছর হলো বিছানায় পড়ে আছি। কেউ দিলে পেটে ভাত যায়, না দিলে উপোস থাকতে হয়। চিকিৎসা কীভাবে করাব? সরকারি সুবিধা পাই না। প্রতিবেশীরা আর ক’দিন দেখবে? আগামী দিনগুলো কীভাবে যাবে, তা জানি না।
রফিকুল ইসলামের প্রতিবেশী নন্দীগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক সবুজ কুমার সরকার বলেন, রফিকুলের বাড়ির ওপর দিয়ে আমার যাতায়াত। ওই দু’জনের কষ্ট দেখলে খারাপ লাগে। যথাসাধ্য চেষ্টা করি তাদের সাহায্য করতে। তাদের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। 
নন্দীগ্রাম পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, তাদের বিষয়ে শুনেছি। পৌরসভার পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করা হবে।

আরও পড়ুন

×