দু’পক্ষের মারামারি থামাতে গিয়ে যুবদল নেতার মৃত্যু

মোহাম্মদ আলমগীর
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৫ | ২২:১৮
গ্রামের দুই কিশোর গ্রুপের মধ্যে চলছিল মারামারি। তাদের থামাতে গিয়েছিলেন যুবদল নেতা মোহাম্মদ আলমগীর (৪৩)। দু’পক্ষের ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের রাউজানের উরকিরচর ইউনিয়নের হারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আলমগীর উরকিরচর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হারপাড়া গ্রামে মুরগি বিক্রির দোকান করেন আলমগীর। তাঁর দোকানের সামনেই কিশোরদের দুটি পক্ষের মধ্যে মারামারি চলছিল। ১০-১২ জন মারামারিতে লিপ্ত ছিল। সেখানে গিয়ে আলমগীর দু’পক্ষের মাঝে সমঝোতার চেষ্টা করেন। ধস্তাধস্তির মাঝে এক পর্যায়ে বুকে ব্যথা অনুভব হলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
স্থানীয় বাসিন্দা কবির সওদাগর দাবি করেন, দু’পক্ষের ধস্তাধস্তির মাঝে তাঁর বুকে ঘুসি লাগার পর তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাঁকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আলমগীরের ছোট ভাই মুহাম্মদ রফিক দাবি করেন, তাঁর ভাই ঘুসির আঘাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন ও পরে মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া সমকালকে বলেন, দুই কিশোর গ্রুপ মারামারি করছিল। তাদের থামাতে যান আলমগীর। এ সময় দু’পক্ষের ধস্তাধস্তির মাঝে ধাক্কায় তিনি মাটিতে পড়ে যান। হৃদরোগের কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নিহত ব্যক্তির পরিবারেরও কোনো অভিযোগ নেই। তাই আমরা এটাকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে মনে করছি।
- বিষয় :
- রাউজান
- যুবদল নেতা