ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

কথা বলছে মুরাদ, পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগবে

কথা বলছে মুরাদ, পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগবে

.

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৫ | ০০:৩১

জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মুরাদ। তাঁকে সুস্থ করে তুলতে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যাংককের ভেজথানি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। বর্তমানে টুকটাক কথা বললেও শারীরিক সক্ষমতা ফিরে আসেনি মুরাদের। এরজন্য আরও ছয় থেকে আট মাস সময় লাগবে জানিয়েছেন ব্যাংককের ওই চিকিৎসক। 
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাট্টারা ক্রাসান্টের তত্ত্ববধানে মুরাদের চিকিৎসা চলছে। তিনি স্বাভাবিকভাকে খাবার খেতে পারছেন। অল্পস্বল্প কথাও বলছেন। তবে নিজ পায়ে উঠে দাঁড়াতে আরও বছরখানেক সময় লাগতে পারে। 
মুরাদের বাবা আমিনুল ইসলাম জানান, মুরাদের স্পাইনাল কডে সমস্যা আছে। সেরে উঠতে ৬ থেকে ৮ মাসের বেশি সময় লাগবে। প্রতিদিনই একটু একটু করে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। নার্সদের সহায়তায় খাবার খাচ্ছেন। 
ঈশ্বরদী পৌর এলাকার পিয়ারাখালি জামতলা এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে মুরাদ রাজধানীর একটি চাইনিজ রেস্তোরাঁয় কর্মরত ছিলেন। ১৮ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন। গলা ও স্পাইনাল কড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাঁকে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ৪ মাস অচেতন অবস্থায় থাকার পর হাসপাতালের আইসিইউ থেকে তাঁকে পোস্ট অপারেটিভের বেডে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসা চলাকালে শরীর থেকে দুটি গুলি বের করার পর তিনি প্যারালাইজড হয়ে যান। 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশ সমকাল প্রতিবেদককে জানান, সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আমার নজরে এসেছে। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়। গত বছর ২০ নভেম্বর সরকারি ব্যবস্থাপনায় তাঁকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককের ভেজথানি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পাট্টারা ক্রাসান্টের তত্ত্ববধানে আছেন মুরাদ।
ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক রেজাউল করিম জানান, গুলিবিদ্ধ মুরাদের শরীর থেকে দুটি গুলি বের করার পর স্পাইনাল কড অকেজো হয়ে পুরো শরীর প্যারালাইজড হয়ে যায়। দ্রুত তাঁকে ব্যাংককে নেওয়া হয়। মুরাদকে সুস্থ করে তুলতে আপ্রাণ শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ভেজথানি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। 
মুরাদের স্ত্রী মহুয়া মার্জিয়া রানী সমকালকে বলেন, ‘সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিলেন মুরাদ। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় দুই ছেলেমেয়ের পড়ালেখা আর সংসারের খরচ জোগাতে হিমশিম অবস্থা। মুরাদ যেন দ্রুত প্রাণে বেঁচে ফিরতে পারেন সেই আশাতেই রয়েছি।’

আরও পড়ুন

×