চবি শিক্ষক কুশলের পদোন্নতিবোর্ড বাতিল, বাগবিতণ্ডায় জড়ানো শিক্ষার্থীদের ‘ক্ষমা’

ফাইল ছবি
চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৫ | ১৮:২৬
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষক ড. কুশল বরণ চক্রবর্ত্তীর পদোন্নতির জন্য গঠিত বোর্ড বাতিল ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত শুক্রবার বোর্ড বাতিল করা হয়।
এ দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ানো সেই শিক্ষার্থীরা দুঃখ প্রকাশ করেছে। ফলে তাদের ক্ষমা করে দিয়েছে প্রশাসন ও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। গতকাল শনিবার বাগবিতণ্ডায় জড়ানো শিক্ষার্থীদের আপাতত ‘ক্ষমা’ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন।
শুক্রবার বিকেলে উপাচার্যের কার্যালয়ে ড. কুশল বরণের পদোন্নতির সাক্ষাৎকারের আগে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সেখানে গিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে গঠিত পদন্নোতির বোর্ড বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামিম উদ্দীন খান সমকালকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-নীতি ও সার্বিক পরিবেশ বিবেচনায় নিয়ে আমরা ড. কুশল বরণ চক্রবর্ত্তীর পদোন্নতির বোর্ড প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেহেতু এটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পরবর্তীতে বোর্ড বসবে।’
ঘটনার সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ‘আপনাকে আমরা বসিয়েছি’ বলে উপাচার্যের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েছে সাবেক ছাত্রঅধিকার পরিষদের নেতা তাহসীন হাবিব। তিনি সমকালকে বলেন, ‘আমরা কখনোই বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে চাইনি। ঘটনাটা আবেগের বশবর্তী হয়ে হয়েছে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।’
উপাচার্যের কক্ষে কাজগপত্র দেখিয়ে চরম উত্তেজিত হতে যায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদক হাবিবুল্লাহ খালেদকে। তিনি সমকালকে বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য ছিল কুশল বরণ চক্রবর্ত্তীর পদোন্নতির বিরোধিতা করা। সেই প্রতিবাদ করতে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, আমরা অন্যায় করিনি। আমরা বলেছি, জুলাইয়ের বিপ্লবী প্রশাসন কীভাবে ফ্যাসীবাদী শিক্ষককে পদোন্নতি দেই। আমাদের প্রতিবাদ ছিল, সেখানে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন সমকালকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপাচার্যের অফিসে যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত। তবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে। তাই আপাতত তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন না ঘটে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি থাকবে। প্রয়োজনে ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নতুন নির্দেশনাও জারি করা হতে পারে।
- বিষয় :
- চবি