ভালোবাসার এ কেমন পরিণতি

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:৩৪
আত্মহত্যা করে ভালোবাসার সমাপ্তি টানলেন প্রেমিক সোহাগ আহম্মেদ (১৯)। অন্যদিকে হারপিক খেয়ে বাঁচা-মরার সন্ধিক্ষণে প্রেমিকা জাকিয়া ইসলাম জান্নাত (১৭)। ঘটনাটি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার পৌর সদরের আনন্দনগর মহল্লার।
নিহত সোহাগ আনন্দনগর এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে এবং জাকিয়া ইসলাম জান্নাত খামারনাচকৈড় এলাকার জহুরুল ইসলামের মেয়ে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত সোহাগ রাজশাহী পলিটেকনিকে ডিপ্লোমা দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করত এবং জাকিয়া ইসলাম জান্নাত রাজশাহী সিটি কলেজে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করত। সেই সূত্রে দু'জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ছয় মাস ধরে তাদের এই প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। দুর্গাপূজার ছুটিতে তারা দু'জনই বাড়িতে আসে। বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার চলনবিলের বিলশা এলাকায় ঘুরতে যায়। বিষয়টি কেউ একজন জান্নাতের পরিবারকে অবহিত করে। তারা বাড়ি ফিরে এলে জান্নাতের অভিভাবক তাকে বাড়ি থেকে জোর করে সোহাগের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। একপর্যায় জান্নাত তার প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান করে বিয়ের দাবিতে। বিয়ে না করলে সে আত্মহত্যা করবে বলে জানায় সোহাগের পরিবারকে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন দু'দফা দুই পরিবার নিয়ে সমঝোতার চেষ্টাও করেন। কিন্তু কোনো সুরাহা হয় না। পরে রাত ১২টার দিকে প্রেমিক সোহাগ তার চাচার বাড়িতে গিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। প্রেমিকের আত্মহত্যার কথা শুনে জান্নাতও শুক্রবার সকালে নিজ বাড়িতে গিয়ে হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর হাসপাতালে ভর্তি করে।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। উভয়পক্ষের অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
- বিষয় :
- প্রেমিক-প্রেমিকার আত্মহত্যা
- বড়াইগ্রাম