খুলনায় যৌনপল্লীতে বিদ্যালয় সম্প্রসারণ ও হোস্টেল নির্মাণের উদ্বোধন

ছবি: সংগৃহীত
খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ০৯:৫৮ | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ১০:৩১
খুলনার বানিশান্তা যৌনপল্লীর শিশুদের বিদ্যালয় সম্প্রসারণ এবং হোস্টেল নির্মাণের উদ্বোধন করেছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। মন্ত্রী রোববার দুপুরে তার মন্ত্রণালয় থেকে জুম অ্যাপের মাধ্যমে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা যৌনপল্লীর শিশুদের আবাসিক শিক্ষা ও পুনর্বাসনের লক্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয় সম্প্রসারণ এবং হোস্টেল নির্মাণের উদ্বোধন করেন। খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনকালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি শিশুর শিক্ষার অধিকার রয়েছে। শিশুরা দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। সরকার সমাজের পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া শিশুদের জন্য নিরাপদ দেশ গড়তে সরকার সব কিছুই করছে। শিশুরা যদি আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্যে বেঁচে থাকে তাহলে তারা দেশ ও জীবনকে ভালবাসে। দেশের এই প্রথম কোনো জেলায় এ ধরণের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ প্রশংসনীয়।’ এই উদ্যোগের জন্য মন্ত্রী খুলনার জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।
জুম অ্যাপে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এবং খুলনা সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আবদুর রহমান। খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খান মো. মোতাহার হোসেন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সাহেব আলী, মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুম অ্যাপে যুক্ত ছিলেন।
খুলনা জেলা প্রশাসনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দাকোপের বানিশান্তা যৌনপল্লীর শিশুদের আবাসিক শিক্ষা ও পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় সম্প্রসারণ এবং হোস্টেল নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১ কোটি ৬৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো- যৌনপল্লীর শিশুদের সমাজের মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে আনা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এলাকার প্রায় ১০০ পরিবার সমাজের স্বাভাবিক ধায়ায় ফিরে আসবে, নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে, অপরাধ প্রবণতা হ্রাস, শিক্ষার প্রতি আগ্রহ তৈরি হবে।
এখানকার যৌনকর্মীর মেয়েরা বংশ পরম্পরায় যৌনকর্মী হয়ে আসছে এবং ছেলেরা অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে থাকে। এই পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে খুলনা জেলা প্রশাসন এ উদ্যোগ নিয়েছে।