ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

সাভারে গাংচিল বাহিনীর প্রধান সালাউদ্দিনসহ আটক ৩, অস্ত্র উদ্ধার

সাভারে গাংচিল বাহিনীর প্রধান সালাউদ্দিনসহ আটক ৩, অস্ত্র উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ০৮:১৮

সাভারের আমিনবাজার এলাকার গাংচিল বাহিনীর প্রধান সালাউদ্দিন ও তার দুই সহযোগীকে অস্ত্র ও মাদকসহ আটক করেছে র‌্যাব-৪ এর একটি বিশেষ দল। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, দুই রাউন্ড গুলি, মাদক হিরোইন, ইয়াবা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। 

শুক্রবার বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৪। এর আগে শুক্রবার ভোরে আমিনবাজার সালেহপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। 

আটককৃতরা হলো- আমিনবাজার এলাকার গাংচিল বাহিনীর প্রধান সালাউদ্দিন ওরফে এমপি সালাউদ্দিন, তার সহযোগী আশরাফ ও আকিদুল। 

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আমিনবাজার সালেহপুর এলাকায় গাংচিল বাহিনীর প্রধান সালাউদ্দিন ও তার সহযোগীরা অবস্থান করছে এমন  গোপন সংবাদে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে শুক্রবার ভোররাতে গাংচিল বাহিনীর প্রধান সালাউদ্দিন ও তার দুই সহযোগীকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছে থাকা একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, দুই রাউন্ড গুলি, ১৯০ গ্রাম হিরোইন, দেশীয় অস্ত্র ও ৫শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে র‌্যাব সদস্যরা।

র‌্যাব আরও জানায়, ২০০০ সাল থেকে সাভার আমিন বাজার ও তার আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার মধ্য দিয়ে উত্থান হয় গাংচিল বাহিনীর, যার প্রধান ছিল আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার। বেশিরভাগ সময় পানিবেষ্টিত এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় এর নাম দেওয়া হয় গাংচিল বাহিনী। ২০১৭ সালে আনার এর মৃত্যুর পর তার সহযোগী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে আবারো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে। এ বাহিনী মূলত আমিন বাজার, গাবতলী, ভাকুর্তা, কাউন্দিয়া, বেড়িবাঁধ, কেরানীগঞ্জ ও মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি ও খুনসহ নানা অপরাধ চালিয়ে আসছিল।

র‌্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম জানান, গাংচিল বাহিনী ২০০২ সালে  সাভার থানা পুলিশের এক এসআইকে হত্যা, ২০০৭ সালে দুই র‌্যাব সদস্যকে হত্যা, দিয়াবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির অস্ত্রলুট ও আমিন বাজার এলাকায় নৌ-টহল দলের অস্ত্র লুটের সাথে জড়িত ছিল। এ বাহিনীর সদস্যরা তুরাগ ও বুড়িগঙা নদীর বালুভর্তি ট্রলার, ইটের কার্গোতে ডাকাতি ও আমিন বাজার এলাকার শতাধিক  ইটভাটা থেকে নিয়মিত চাঁদা নিত। এছাড়াও এলাকার প্রভাবশালীদের টার্গেট করে গাংচিল বাহিনীর সদস্যরা মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে ও চাঁদা না দিলে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। চাঁদাবাজি, খুন, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, ছিনতাইসহ তুরাগ আর বুড়িগঙ্গা নদীর দুই ধারে অধিপত্য বিস্তার ছিল এই বাহিনীর প্রধান কাজ। 

তিনি আরও জানান, এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মারামারির একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। 

আরও পড়ুন

×