ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

শনিবার পাবনা-৪ আসনে উপনির্বাচন

শনিবার পাবনা-৪ আসনে উপনির্বাচন

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ১০:৩২

পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে শনিবার। নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা ও ধানের শীষের। এ নির্বাচন ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। 

১৮ জন নির্বাহী ও দু'জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আট পল্গাটুন বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এবারই প্রথম ভোটের দিন সকাল ৮টার মধ্যে ব্যালট পেপার কেন্দ্রে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ছাড়া শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে কোনো সহিংসতা ও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে সহিংস ঘটনা ঘটেছে। তবে শেষ মুহূর্তে দুই দলই অভ্যন্তরীণ কোন্দল মিটমাট করে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচারণা চালিয়েছে।

ঈশ্বরদীর ৮৪, আটঘরিয়ার ৪৫টিসহ মোট ১২৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। মোট তিন লাখ ৮১ হাজার ১১২ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। জেলা রিটার্নিং অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ সমকালকে জানান, নির্বাচনে সহিংসতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আজ অন্য এলাকার মানুষ নির্বাচনী এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। এজন্য চেকপোস্ট বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাইওয়ে ছাড়া অন্যান্য রাস্তায় সব যানবাহন চলাচলও নিষিদ্ধ রয়েছে।

ঈশ্বরদী থানার ওসি সেখ নাসীর উদ্দিন নির্বাচনে পুলিশের পক্ষ থেকে শতভাগ নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। ভোটকেন্দ্রে সশস্ত্র পুলিশ ও আনসার, পাঁচটি কেন্দ্র ঘিরে মোবাইল ফোর্স, ইউনিয়নভিত্তিক তদারকির জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স, সার্বিক তদারকির জন্য চার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে চারটি টিম এবং পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটি টিম মাঠে থাকছে। আটঘরিয়াতেও একইভাবে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, প্রচারের মাইক ভাঙচুর, বিএনপি কর্মীদের ওপর হামলা ও ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি, নেতাকর্মীদের পুলিশি হয়রানি, মিথ্যা মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তারের অভিযোগ করেছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব। মানুষ যদি ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে এবং ভোট যদি কারচুপি না হয়, তাহলে ধানের শীষের জয় হবে বলে তিনি আশাবাদী।

নৌকার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, হাবিব পোস্টার লাগানো ও পোলিং এজেন্ট দেওয়ার লোক না পেয়ে বরাবরের মতো মিথ্যাচার করছে। নৌকার অফিসে গুলিবর্ষণের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমাকে গুলির ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। ব্যালটের মাধ্যমে এই বুলেটের জবাব দেওয়া হবে। নির্বাচন ঘিরে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী এই প্রার্থী।

বিএনপির প্রচার মাইক ভাঙচুর ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা প্রসঙ্গে ঈশ্বরদী থানার ওসি সেখ নাসীর উদ্দিন বলেন, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। নৌকার দুটি অফিস ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় ৫৬ নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ৪৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে কিনা জানি না। তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং পুলিশি হয়রানিও করা হচ্ছে না বলে তিনি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন

×