ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

লালমনিরহাটে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

লালমনিরহাটে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

প্রতীকী ছবি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২০ | ০৫:৫২ | আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২০ | ০৬:৩৩

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ট্রেনের এক কিশোরী যাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় রকি নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার রনি উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের তালুক বানিনগরের রজব আলীর ছেলে।

এর আগে কালীগঞ্জ প্রেসক্লাব এলাকা থেকে ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। এদিকে এ ঘটনায় সালিশি বৈঠকে অভিযুক্তদের কাছ থেকে আদায়কৃত জরিমানার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মাতব্বরদের বিরুদ্ধে।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী কিশোরী জানায়, গত ৫ অক্টোবর নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী রংপুরের কাউনিয়া এলাকার মামার বাড়ি থেকে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে খালার বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখান থেকে ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় লালমনিরহাটগামী আন্ত:নগর করতোয়া এক্সপ্রেস যোগে কাউনিয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। ট্রেন কালীগঞ্জ ষ্টেশনে দাঁড়ালে নাস্তা করতে নামে ওই কিশোরী। এরই মাঝে ট্রেনটি ছেড়ে দিলে বিপাকে পড়ে মেয়েটি। এ সময় রকিসহ কয়েকজন বখাটে তার পিছু নেয়। এক পর্যায়ে অটোরিকশা যোগে ওই কিশোরীকে কাউনিয়ায় পৌঁছে দিবে বলে তাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে সময় পার করে তারা। পরে মধ্যরাতে কাকিনা এলাকায় একটি সেচ পাম্পের ঘরে রকিসহ আরো তিনজন কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এরপর মুখ না খোলার শর্তে বুধবার সকালে মেয়েটিকে ছেড়ে দেয় তারা। ছাড়া পেয়ে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী স্থানীয়দের সহায়তায় এক গ্রাম্য পুলিশের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মাতব্বররা সালিশি বৈঠকে বসে অভিযুক্তদের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

অভিযোগ উঠেছে, ওই মাতব্বররা জরিমানার টাকা কিশোরীকে না দিয়ে মেয়েটিকে তার বাড়িতে যাওয়ার জন্য পথ খরচ দিয়ে বিদায় করার চেষ্টা করেন। শুক্রবার দুপুরে মেয়েটি স্থানীয় প্রেসক্লাবে আশ্রয় নিলে বিষয়টি জানাজানি হয়। শুক্রবার মধ্যরাতে কালীগঞ্জ থানায় মেয়েটি বাদী হয়ে ৭ ধর্ষক ও সালিশি অংশগ্রহণকারী মোট ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ রকি নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে।

এ ব্যাপারে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম জানান, মেয়েটি গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সালিশ বৈঠকে জরিমানার পুরো টাকা মেয়েটিকে না দিয়ে বাড়িতে পাঠানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত ১০ জনের মধ্যে ৭ জন ধর্ষক ও অন্য তিন জন সালিশ বৈঠকের মাতব্বর। ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন

×