মেয়ের স্কুলে ভর্তির জন্য আইনি লড়াই, ৫ বছর পর জয়ী বাবা

বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২০ | ০৯:১৬
বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ২০১৫ সালের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল নগরীর গোঁড়াচাদ দাস রোডের বাসিন্দা সৈয়দা তাসনিয়া বিনতে আবদুল্লাহ। ভর্তি পরীক্ষার ফলে তাকে অকৃতকার্য দেখানো হয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ঘোষিত ফল চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করেছিলেন তাসনিয়ার বাবা অ্যাডভোকেট এসএম আবদুল্লাহ।
পাঁচ বছর পর আদালত তাসনিয়াকে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ঘোষণা করেছেন এবং বর্তমানে সে যে শ্রেণিতে অধ্যয়নরত সেই শ্রেণিতে বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বরিশাল সদর সহকারী জজ আদালতে এ মামলা করা হয়। এতে বিবাদী করা হয় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসক এবং সদস্য সচিবের দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষকসহ ২০১৫ সালের ভর্তি কার্যক্রমে সংশ্নিষ্ট পাঁচজনকে।
বাদীর আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত সৈয়দা তাসনিয়া এবং একই শাখায় (প্রভাতি) পরীক্ষায় অংশ নেওয়া আরও আট ছাত্রীর উত্তরপত্র তলব করে পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করেন। দেখতে পান, তাসনিয়া তাদের চেয়ে নম্বর বেশি পেয়েছে। ওই আট ছাত্রীকে একটি প্রশ্নের ভুল উত্তরে নম্বর দিয়ে তাদের উত্তীর্ণ দেখানো হয়েছিল। অর্থাৎ ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নম্বর পেলেও তাসনিয়াকে অকৃতকার্য দেখানো হয়। বাদীর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বরিশাল সদর সহকারী জজ আদালতের বিচারক কাজী কামরুল ইসলাম সৈয়দা তাসনিয়াকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করেন।
সৈয়দা তাসনিয়া বিনতে আবদুল্লাহ বর্তমানে বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। আইনি লড়াইয়ে তার বাবা জয়ী হওয়ার পাঁচ বছর পর তাসনিয়া সুযোগ পেল বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার।
তাসনিয়ার বাবা অ্যাডভোকেট এসএম আবদুল্লাহ বলেন, ওই বিদ্যালয়ে প্রতি বছর তৃতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার ফল নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এই আইনি লড়াইয়ে প্রমাণ হয়েছে বিদ্যালয়টিতে ভর্তি পরীক্ষার ফলে অনিয়ম হয়।
সৈয়দা তাসনিয়া বিনতে আবদুল্লাহ বলে, উত্তীর্ণ হওয়ার পরও আমাকে ভর্তি পরীক্ষার ফলে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছিল। তাই এক দিনের জন্য হলেও বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবা হোসেন জানান, আদালতের আদেশ তিনি পেয়েছেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।
- বিষয় :
- আইনি লড়াই
- অনিয়ম
- ভর্তি পরীক্ষা
- বরিশাল