প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে শ্বশুর গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২০ | ০৯:১৬ | আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২০ | ০৯:২২
হবিগঞ্জের বাহুবলে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী তানিয়া আক্তারকে (২২) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ২ নং আসামি ও তানিয়ার শ্বশুর হারুনুর রশীদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বুধবার গভীর রাতে তাকে উপজেলার ভুগলী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে বুধবার রাতে দেবর জানে আলমকে প্রধান আসামি এবঙ শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিহত তানিয়ার মা রুনা আক্তার।
র্যাব শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের এসআই মনির বলেন, হারুনুর রশীদকে বাহুবল উপজেলার ভূগলী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বাহুবল উপজেলার মির্জাটুলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী নুরুল ইসলামের মেয়ে তানিয়া আক্তারের (২২) সঙ্গে তিন বছর আগে বিয়ে হয় একই উপজেলার ফদ্রখলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী শাহ আলমের। বিয়ের পর তাদের কোল জুড়ে আসে একটি পুত্র সন্তান। এরপর সুখেই যাচ্ছিল তানিয়ার দাম্পত্য জীবন। কিন্তু স্বামী বিদেশে থাকায় তানিয়াকে কুপ্রস্তাব দেওয়া শুরু করে তার দেবর। তানিয়া শ্বশুর-শাশুড়িকে বিষয়টি বারবার জানালেও তারা কোন কর্নপাত করেননি। জানে আলমের স্ত্রী ঝুমা আক্তারকেও বিষয়টি জানান তানিয়া। এ নিয়ে জানে আলমের সঙ্গে স্ত্রী ঝুমা আক্তারের ঝগড়া হয়। স্ত্রী নিষেধ করলেও তা মানেননি জানে আলম। এক পর্যায়ে জানে আলমের ঘর ছাড়ে তার স্ত্রী ঝুমা আক্তার। বিষয়টি ছড়িয়ে পরে পুরো গ্রামে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন জানে আলম। সবাইকে বিচার দেওয়ার প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি। পরে গত রোববার রাতে দরজারে লক ভেঙে তানিয়ার রুমে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করেন জানে আলম। এক পর্যায়ে তানিয়াকে হত্যার উদ্দেশে তার মুখে বিষ ঢেলে দেন। ওই দিন রাতে তানিয়ার ছোট ভাই তানভীরকে ফোন দেন জানে আলম। ফোন দিয়ে বলে, তার স্ত্রী অসুস্থ; একটি সিএনজি নিয়ে আসতে। তিনি সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে জানে আলমের বাড়িতে গিয়ে দেখেন তার স্ত্রী নয়, তানভীরের বোন অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছে। পরে তাকে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। সোমবার সকালে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছা মাত্রই তানিয়ার মৃত্যু হয়।
বাহুবল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, তানিয়ার শ্বশুর হারুনুর রশীদকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত আদালতে পাঠানো হয়নি।
- বিষয় :
- ধর্ষণ
- ধর্ষণের পর খুন
- গৃহবধূকে ধর্ষণ