দিনমজুরের অভিযোগ শুনে থানায় সাংসদ, উদ্ধার পেল ২ বোন

দীর্ঘ ২ বছর পর পরিবারের কাছে ফিরতে পারা ২ বোন -সমকাল
কলমাকান্দা (নেত্রকোণা) সংবাদদাতা
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৪:৫৪ | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৫:০৪
মোছা. কুলছুম আক্তার (২০) ও মোছা. খাদিজা আক্তার (১৪) দুই বোন জীবিকার তাগিদে আসেন ঢাকায়। নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলায় রংছাতি ইউনিয়নের বড়কান্দা গ্রাম থেকে এসে তারা গৃহকর্মীর কাজ নেন রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার মো. আবু হোসেন রতনের বাসায়। প্রথম দিকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ও দেখা-সাক্ষাত করতে দেওয়া হতো তাদের। কিন্তু গত প্রায় দুই বছর ধরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাদের দেখা করতে দেন না গৃহকর্তা। মেয়েদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে ও দেখা করতে চাইলে তাদের বাবাকে উল্টো হুমকি-ধমকি দেওয়া হতো।
নিরুপায় বাবা দিনমজুর মো. আব্দুল্লাহ দেখা করেন নিজ এলাকার নেত্রকোণা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর নির্বাচনী এলাকা) আসনের সংসদ সদস্য মানু মজুমদারের সঙ্গে। ঘটনার বর্ণনা শুনে সাংসদ নিজে আসেন রাজধানীর ধানমন্ডি থানায়। পরে ওসি অভিযোগ শুনে তাৎক্ষণিক তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মেয়ে দু'টির অবস্থান শনাক্ত করেন। পরে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে ২ বোনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এ ব্যাপরে ধানমন্ডির থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম আলী মিয়া মুঠোফোনে সমকালকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই দুই বোন তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা ও কোন ধরণের যোগাযোগ করতে পারছিল না। এ নিয়ে তাদের পরিবার উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিল। তাদের উদ্ধার করে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাবা মো. আব্দুল্লাহ্ বলেন, সংসারে অভাব-অনটন থাকায় দুই মেয়েকে ঢাকায় একটি বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজে দেই। প্রথম প্রথম যোগাযোগ করতে দিলেও দুই বছর ধরে দেখা করতে দিচ্ছিল না। সাক্ষাৎ করতে গেলে গৃহকর্তা উল্টো আমাকে হুমকি-ধমকি দিত। এমনকি তিনি আমার মেয়ে়দের বিদেশে পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন বলে আমি জানতে পারি। অবশেষে নিরুপায় হয়ে আমি আমার এলাকার সংসদ সদস্য বাবু মানু মজুমদারের শরণাপন্ন হই। পরে তার উদ্যোগে ধানমন্ডির থানা পুলিশের সহযোগিতায় অনেকদিন পর আমার মেয়ে দু'টিকে বুকে ফিরে পেয়েছি। আমি খুবই খুশি।
- বিষয় :
- তরুণী উদ্ধার
- গৃহকর্মী